নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি,৯ এপ্রিল: দিল্লির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ক্রমেই উদ্বেগজনক চেহারা নিচ্ছে। তাই গতকাল থেকে দিল্লির একের পর এক এলাকা হটস্পট চিহ্নিত করে সিল করে দেওয়া হচ্ছে। আজও সেই প্রক্রিয়াই বজায় রেখে আরও নতুন করে ১৫টি এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই সবথেকে বিপজ্জনক তথ্য সামনে এসেছে। দিল্লির কেন্দ্রস্থলে থাকা বেঙ্গলি মার্কেটের একটি দোকানের ছাদে ৩৫ জন কর্মচারীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। লকডাউন যেদিন শুরু হয় সেদিন থেকেই তাঁরা ওই দোকানের ছাদে অপরিসর ও অপরিচ্ছন্ন স্থানে রীতিমতো ঘেঁষাঘেঁষি করেই দিনরাত কাটিয়েছেন গোপনে। বেঙ্গলি মার্কেট দিল্লির অন্যতম খ্যাতনামা একটি মার্কেট কমপ্লেক্স। প্রধানত ইটিং জয়েন্ট হিসাবে পরিচিত। ওই ৩৫ জনকে পুলিশ ও স্থাস্থ্যকর্মীরা আটক করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। ওই দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেছে। যদিও ওই দোকান মালিক বলেছেন, বেঙ্গলি মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে কর্মরত এই কর্মচারীদের কোথাও যাওয়ার উপায় ছিল না। তাই তিনি মানবিকতার খাতিরে এদের স্থান দিয়েছিলেন। বস্তুত বেঙ্গলি মার্কেটের কর্মচারীরা কোথায় গেল এই সন্ধান করতেই এই এলাকায় পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায়। এবং গোটা এলাকা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে কিনা এটা নিশ্চিত করার সময়ই ধরা পড়ে ছাদে লুকিয়ে থাকা ৩৫ জন কর্মচারী। এরপরই বেঙ্গলি মার্কেট এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে মালব্য নগর, সঙ্গম বিহার, ময়ূর বিহার, পটপরগঞ্জ, পাণ্ডব নগরের আওতায় থাকা আরও একঝাঁক এলাকা সিল করা হয়েছে। এর কারণ এই এলাকাগুলিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি
সরকার স্থির করেছে একটি এলাকায় একজন সংক্রামিত হলেই সেটি সিল করে দেওয়া হবে। লকডাউন আর সিল করে দেওয়ার মধ্যে পার্থক্য কী? পার্থক্য হল, সিল করে দেওয়া এলাকাগুলিতে বাসিন্দারা কেউ বাইরে পা রাখতে পারবে না। বাইরে থেকেও কেউ ঢুকতে পারবে না। কোনও দোকান, কোনও এটিএম পর্যন্ত খোলা হবে না। সবটাই নির্ভর করতে হবে পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের উপর। দিল্লি সরকার সহায়তা ডেস্ক খুলেছে। সেখানেও জানানো যাবে প্রয়োজনীয় অত্যাবশকীয় পণ্যের কথা। সেক্ষেত্রে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। দিল্লিতে বস্তুত লাফ দিয়ে বাড়ছে সংক্রামিতের সংখ্যা। টেস্টিং বেড়ে যাওয়ার ফলেই এই সংখ্যাবৃদ্ধি।