Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নাগরিক সমাজকেও প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

করোনার ভয়াবহ বিপর্যয় কতদিন ধরে চলবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। আজ সারা পৃথিবীটাই করোনায় আক্রান্ত। শুধু ইউরোপেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মৃত্যুর মিছিল। দিশেহারা মার্কিন প্রশাসন চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সরাসরি সাহায্য চাইছে। স্বয়ং ট্রাম্প ওষুধ সরবরাহের ব্যাপারে মোদির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। করোনায় আক্রান্ত ইউরোপের রাষ্ট্রপ্রধানরা চীনের কাছে চিকিৎসা সহায়তা চেয়েছেন। বিশ্বজুড়ে যে পরিস্থিতি তাতে আদতেও রাষ্ট্রগুলি একে অপরকে সাহায্য করবার মতো জায়গায় আছে কি?
বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভাববার সময় এখন নয়। মানব সভ্যতাকে রক্ষা করার এই লড়াইয়ে অর্থনীতির ভাবনা এই মুহূর্তে তুচ্ছ। যদিও আগামী সময়ের নিরিখে অর্থনীতির প্রভাবকেও উপেক্ষা করা যায় না। করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যে সঙ্কটে পড়বে সেটা মানবসভ্যতা রক্ষার লড়াইয়ের আরেকটি পর্ব হিসাবে চিহ্নিত থাকবে।
বিপুল জনসংখ্যার প্রেক্ষিতে করোনার সংকট আলাদা মাত্রা পেয়েছে ভারতে। চেষ্টা করেও এর প্রভাব নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়নি। প্রায় সারাদেশেই মানুষ আক্রান্ত, তেমনি লকডাউনের ফলে গোটা দেশই আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। পরিস্থিতি ইউরোপ আমেরিকার মতো নয় ঠিকই, কিন্তু সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুটোই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তা এ এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। লকডাউন কতদিন চলবে কারও জানা নেই। রাজ্যগুলো স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জাম বৃদ্ধির জন্য চার সপ্তাহ ধরে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্র ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বহু ধরনের ব্যয় হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে সরকারকে। সাংসদ তহবিলে টাকা খরচ দু›বছরের জন্য বন্ধ রাখা, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালদের বেতন ৩০% হ্রাস করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ২০০ কোটি টাকার তহবিল গড়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে:
ক) রাষ্ট্রের এসব উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিক হিসাবে আমরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছি তো?
খ) যদি দীর্ঘদিন লকডাউন থাকে তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি নিচ্ছে তো?
গ) কেবল প্রশাসনিক উদ্যোগের উপর নির্ভর করে দীর্ঘ লড়াই জারি রাখা বাস্তবে সম্ভব হবে কি?
ইতালি, স্পেন বা আমেরিকার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা মোকাবিলা করা কেবল রাজ্য বা কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পক্ষে মোটেই সম্ভব হবে না। দীর্ঘমেয়াদে নাগরিক জীবনের উদ্যমী মানুষ ও সামাজিক সংগঠনগুলিকে প্রস্তুত করা ও রাখার বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনায় আসা যাবে। এখন দেখা যাক, লকডাউন ঘোষণার পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রশ্নে মূল সমস্যা কোথা থেকে উঠে আসছে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য কী করা যেতে পারে।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাজারগুলিতে মানুষের ভিড় এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না বিভিন্ন কারণে। সকালে ১০টা পর্যন্ত হাটবাজার খোলা থাকায় বিপুল সংখ্যক ক্রেতা একইসময়ে বাজারে জড়ো হওয়ায় এবং বিপদ এড়ানো কঠিনই হচ্ছে। বহুক্ষেত্রে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে হাটবাজার করার মতো অবস্থা নেই। এক্ষেত্রে প্রশাসন পুরনো বাজারগুলি সরিয়ে নিয়ে জেলাস্তরে বড় খেলার মাঠে চালু করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু কলকাতায় বড় জায়গার অভাব আছেই। বাজার স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পার্ক ও খেলার মাঠগুলিকে ব্যবহার করা যায় কি না বাবা মেতে পারে। দিতীয়ত, একেকটি পাড়ার পরিবারগুলিকে বাজার বা দোকানে প্রবেশ করবার জন্য একেকটি নির্দিষ্ট দিন এবং সময় নির্ধারণ করে দিলে বাজারে একই সময় বহু সংখ্যক মানুষের ভিড় আটকানো সম্ভব। তৃতীয়ত, অনলাইন পরিষেবা শহরে এখনও সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমেও বাজারে ভিড় আটকানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে পুলিস এবং সাধারণ প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। বাংলায় মূলত পুলিশ প্রশাসনকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নাগরিকদের সচেতন করার উদ্যোগ যেমন পুলিস নিয়েছে তেমনি প্রস্তুত খাবার বিতরণের ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকাই মুখ্য। একইসঙ্গে হাসপাতলে রোগীকে পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও তাদের। পুলিস প্রশাসনের উপর এই অতি নির্ভরতা স্বল্পমেয়াদে সুফল দিলেও দীর্ঘমেয়াদে ব্যাপারটি কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
বিপদ পরে ভয়ঙ্কর আকার নিলে সমাজের নানা স্তরের মতন পুলিস প্রশাসনও সেই প্রভাবের বাইরে থাকবে না। আশঙ্কাটি একইভাবে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ডাক্তার থেকে নার্স, প্যারামেডিকেল স্টাফ থেকে হাসপাতালের একজন ওয়ার্ডবয় সবার জন্যই প্রযোজ্য। অর্থাৎ বৃহত্তর বিপর্যয়ের কথা মাথায় রাখলে কেবল প্রশাসনিকভাবে করোনা বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এখানেই প্রশ্ন আসবে বিকল্প কর্মিবাহিনী কোথা থেকে আসবে এবং কীভাবে তৈরি করা সম্ভব? সময় নষ্ট না-করে এখনই সংগঠিতভাবে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের আহ্বান করা হোক। যোগদানে ইচ্ছুক স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক এবং বড় বিপর্যয় এলে নির্দিষ্টভাবে কোন কাজ কাকে দেখতে হবে তা আগাম নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। এই সমগ্র প্রক্রিয়াটিতে অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে মান্য স্বাস্থ্যবিধি। এমন হতেই পারে বড় বিপর্যয়ে একটি নির্দিষ্ট থানার বহু সংখ্যক পুলিস আধিকারিক ও কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে কাজের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এই অবস্থায় স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের কিছু সময়ের জন্য থানার কাজে সহায়তা করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। এভাবে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের কাজে প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের যাতে পাওয়া যায় তার প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণের জন্য এটাই শেষ উপযুক্ত সময়।
গত ১৫ দিনের লকডাউনে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের উপর। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর দুরবস্থা ক্রমশ বাড়ছে। পাশাপাশি, লকডাউন অনির্দিষ্টকাল চললে সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের ছোট বড় সংস্থাগুলি তাদের শ্রমিকদের নিয়মিত মজুরি দিতে পারবে কি? এই অবস্থায় সারাদেশের রেশন ব্যবস্থাকে জোরদার করা ছাড়া উপায় নেই। এপর্যন্ত বাংলায় রেশন ডিলারদের মাধ্যমে চাল ও গম দেওয়া হচ্ছে। সমস্যা এক্ষেত্রেও। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে। বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ অনেক বেশি কার্যকরী হতে পারে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের জন্য প্রথাগত রেশনের বাইরেও একটু ভাবার সুযোগ রয়েছে। চাল ডাল আটার সঙ্গে অন্যকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও যদি তাঁরা এই মুহূর্তে পান তবে রাষ্ট্রের পক্ষে এই সঙ্কট মোকাবিলা করা অনেক সহজ হবে।
দীর্ঘ লকডাউনে জীবিকার প্রশ্নে যে অনিশ্চয়তা অসংগঠিত ক্ষেত্রে থাকছে রেশনব্যবস্থা ঢেলে না-সাজলে সামাজিক উত্তেজনা তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এই প্রশ্নে রাষ্ট্রের যথাযথ দায়িত্বপালনের উপরেই নির্ভর করবে সামাজিক সুস্থিরতা এবং সামাজিক সুরক্ষা। একইসঙ্গে একথা বলা প্রয়োজন যে, এই মহাসঙ্কটে যে-কোনও গুজব যেমন নতুন বিপদ ডেকে আনতে পারে তেমনি নির্ভুল তথ্যের প্রবাহ অব্যাহত না-থাকলে সেটাও বড় বিপদ সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রসঙ্গে বিগত শতাব্দীর ৬০ এবং ৭০ দশকে চীন এবং ভারতের দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। অর্থনৈতিকভাবে ভারত চীনের থেকে দুর্বল হলেও ভারতে দুর্ভিক্ষের সময় চীনের মতো লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়নি। কারণ, ভারত একটি উদার গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় স্বাধীন সংবাদ প্রবাহের ফলে কোনও এক অঞ্চলের দুর্ভিক্ষের খবর দ্রুততার সঙ্গে অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্য অল্প সময়ের মধ্যে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের কাছে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে চীনে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা থাকায় সরকার দুর্ভিক্ষের খবর চেপে যাওয়ায় অন্য অঞ্চলের মানুষ দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে অবহিত হতে পারতেন না। ফলে, বহু মানুষ সাহায্যের হাত বাড়াতে পারতেন না সুযোগ থাকা সত্ত্বেও। তাই চীনে দুর্ভিক্ষ এবং মৃত্যু, দুটিই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। সুতরাং মুক্ত তথ্যপ্রবাহ সঙ্কট মোকাবিলার প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
মহামারীর কাছে আমরা কেন এত অসহায়?
মৃণালকান্তি দাস

 কেমন যেন স্লো মোশনের একটা সিনেমার দৃশ্যের ভিতরে ঢুকে পড়েছি আমরা! গোটা দুনিয়াটাই হঠাৎ করে যেন আটকে গিয়েছে এক জায়গায়। মানুষের থেকে অনেক ক্ষমতাবান কিছু একটা যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে সবকিছু। চীন, ইতালি, স্পেন ছাড়িয়ে মার্কিন মুলুকেও ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেই ক্ষমতাবান অদৃশ্য শত্রু।
বিশদ

করোনাকালেও অব্যাহত পাকিস্তানের নষ্টামি
হারাধন চৌধুরী

 গত ১৬ মার্চ কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইসিস তার সদস্য ও অনুগামীদের ইউরোপ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে বলেছিল—‘‘দি ল্যান্ড অফ দি এপিডেমিক!’’ লন্ডন থেকে তাদের ‘অ্যাডভাইজারি’ ছিল যে: বিশ্ব মহামারীর এই নতুন কেন্দ্রে তাদের কেউ যেন আপাতত পা না-রাখে এবং ইউরোপে অবস্থানকালে কেউ যদি ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রামিত হয়ে গিয়ে থাকে তবে সে/তারা যেন কোনওভাবেই সংগঠনে এসে ভিড়ে না-যায়।
বিশদ

09th  April, 2020
ড্রেনের জল পরীক্ষা করেই গোষ্ঠী সংক্রমণের আগাম হদিশ মিলতে পারে
মৃন্ময় চন্দ

 নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সারা বিশ্ব প্রকম্পিত। রোগটির চালচলন বিজ্ঞানী বা চিকিৎসক মহলে মোটেই পরিচিত নয়। শুধু চীন কেন, আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ইরান—সর্বত্রই বয়স্কদের উপর বেশি আঘাত হানতে শুরু করেছিল এই মারণ ভাইরাস।
বিশদ

09th  April, 2020
করোনার পরেও আছে এক অন্ধকার সময়
সন্দীপন বিশ্বাস

 কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তখন যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত। তাঁর ওই অবস্থা নিয়ে সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন। ‘আমরা চাঁদা তুলে মারব কীট/... বসন্তে কোকিল কেশে কেশে রক্ত তুলবে সে কীসের বসন্ত!’
বিশদ

08th  April, 2020
জরুরি দ্রুত এবং ব্যাপক জনমুখী পদক্ষেপ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

করোনা ভাইরাস ভারতীয় অর্থনীতির সামনে একই সঙ্গে একটা বড় ধাক্কা এবং কিছুটা সুযোগ দিয়ে গেল। এমনিতেই বৃদ্ধির হার কমতে কমতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। আশা করা যাচ্ছিল এবার হয়তো সেটা ৫ শতাংশের কাছে পৌঁছবে।
বিশদ

08th  April, 2020
গ্যালারি শো কতদিন?
খাবার জুটবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ব্যবসার কাজে হংকং গিয়েছিলেন বেথ এমহফ। কাজ সেরে পার্টি... তারপর দেশে ফেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগো হয়ে যখন মিনিয়াপোলিস ফিরলেন, ততক্ষণে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই, চার, ১৬, ২৫৬... বাড়তে শুরু করল সংখ্যা। সর্দি, কাশি, জ্বর... মৃত্যু। এটাই ছিল চক্র। বিশদ

07th  April, 2020
যাও সুখের সন্ধানে যাও
অতনু বিশ্বাস

 সাম্প্রতিক ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প গিয়েছিলেন দিল্লির একটি সরকারি স্কুলে। পূর্বনির্ধারিত ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’-এ যোগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুখের ক্লাস দেখতে। বিশদ

07th  April, 2020
এখন সবাই জেলবন্দি
পি চিদম্বরম

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) ২০৫টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস হল সংক্রমণ ঘটাতে পটু এক ধরনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বস্তু, যা কেবলমাত্র প্রাণীদেহের জীবিত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে নিজের প্রতিলিপি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলে। বিশদ

06th  April, 2020
ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে কি শেষে
হার মানবে করোনা বিরোধী লড়াই?
হিমাংশু সিংহ

 এই ভয়ঙ্কর মহামারীর দিনে দিল্লির নিজামুদ্দিনে লকডাউন ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের জমায়েত থেকে মানবসভ্যতার কী লাভ হল? কিংবা গত বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে রামনবমীর ভিড়ে ঠাসা মেলায়? সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রামমন্দিরের সামনে মানুষের লম্বা লাইনে?
বিশদ

05th  April, 2020
আত্মঘাতী খেলা
তন্ময় মল্লিক

লড়াইটা আমরা কি ক্রমশই কঠিন করে ফেলছি। লকডাউন ঘোষণার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই লড়াইকে হাল্কা চালে নেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। আর সেটা এই মুহূর্তে রুখে দিতে না পারলে সর্বনাশ অনিবার্য। ইতালি, আমেরিকা, স্পেনের রিপ্লে দেখতে হবে ভারতেও। প্রথমদিকে লকডাউন মানার যে মানসিক দৃঢ়তা আমরা দেখাতে পেরেছিলাম, দিন দিন তা শিথিল হচ্ছে।
বিশদ

04th  April, 2020
হাঁটার গল্প
সমৃদ্ধ দত্ত 

অনেকবার আবেদন করেও আধার কার্ড পায়নি রতু লাল। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করা হলে রেশনও পাওয়া যায় না। সুতরাং সে রেশন পায় না। তার খুব দুঃখ ছিল, সরকারের কোনও কাগজ তার কাছে নেই বলে। সেই কষ্ট ঘুচল। অবশেষে করোনা ভাইরাসের দৌলতে এই প্রথম সরকারিভাবে একটি স্বীকৃতি পেল রতু লাল। কোনও কাগজ, সার্টিফিকেট নয়। আরও স্পষ্ট, আরও সোজাসুজি।   বিশদ

03rd  April, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

02nd  April, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, কাটোয়া: লকডাউনে সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকায় এবার ইউটিউবের মাধ্যমে ‘ই-ক্লাস’ চালু করল কাটোয়ার সুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষকরা প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে ইউটিউবের মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরছেন। পড়ানোর শেষে ছাত্র-ছত্রীদের কাছে ফোন করে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা ...

  অর্ক দে, কলকাতা: লকডাউনের মধ্যেই কাজ এগল দ্রুত। টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ প্রায় শেষের পথে। এই সেতুকে ঘিরে উত্তর কলকাতা বা উত্তর শহরতলির মানুষের ৭৫ বছরের সেই ‘আবেগ’ চলে গেল স্মৃতির অতলে। টালা ব্রিজ বা হেমন্ত সেতু এখন শুধুই ...

 সৌম্যজিৎ সাহা, কলকাতা: রাজ্যের কয়েকশো সংস্কৃত টোল অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অবশেষে জট কাটল। শুধু তাই নয়, ভারতীয় শিক্ষার প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী এই টোলগুলিতে এক দশকের বেশি ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনার প্রভাবে গৃহবন্দি প্রত্যেকেই। সাধারণ কিংবা অসাধারণ, রেহাই নেই কারও। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্ত ব্যক্তিরা অবশ্য কর্মব্যস্ত। কোভিড-১৯’এর চ্যালেঞ্জ টপকে কর্তব্যরত তাঁরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের জন্ম
১৯০১: কবি ও সাহিত্যিক অমিয় চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩১ - বিশিষ্ট লেখক নিমাই ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৬৪: বিশিষ্ট শেফ সঞ্জিব কাপুরের জন্ম
১৯৭৩: ব্রাজিলের ফুটবলার রবার্তো কার্লোসের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী আয়েষা টাকিয়ার জন্ম
১৯৯৫: চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের মৃত্যু
২০১৫: অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রিচি বেনোর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.৫৪ টাকা ৭৭.২৬ টাকা
পাউন্ড ৯২.৯৫ টাকা ৯৬.২৭ টাকা
ইউরো ৮১.৪৭ টাকা ৮৪.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২৭ চৈত্র ১৪২৬, ১০ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, (চৈত্র কৃষ্ণপক্ষ) তৃতীয়া ৪০/১৯ রাত্রি ৯/৩২। বিশাখা ৪১/১৫ রাত্রি ৯/৫৫। সূ উ ৫/২৪/৪০, অ ৫/৫১/২১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৬ গতে ৩/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১০ মধ্যে।
২৭ চৈত্র ১৪২৬, ১০ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, তৃতীয়া ৫১/১২/২৪ রাত্রি ১/৫৪/৫৪। বিশাখা ৫১/৫৩/২৭ রাত্রি ২/১১/১৯। সূ উ ৫/২৫/৫৬, অ ৫/৫২/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২/২৯ গতে ১০/৫/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ১০/৫/৪৫ গতে ১১/৩৯/১ মধ্যে।
১৬ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৯৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের জন্ম১৯০১: ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা: বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াল 
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ...বিশদ

09:48:00 PM

করোনা: অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন করে আক্রান্ত হলেন ১৬ জন, মোট আক্রান্ত ৩৮১ 

09:34:22 PM

লকডাউনের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরে গ্রেপ্তার ১১০ জন 

09:27:00 PM

করোনা: ঘরের বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, নির্দেশ পাঞ্জাব সরকারের 

09:25:42 PM

করোনা: তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত আরও ৭৭ 
তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত হলেন আরও ৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ ...বিশদ

07:27:33 PM