কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ৫২৬টি টোল রয়েছে। অন্যান্য জেলার চেয়ে নদীয়া, কোচবিহার, বর্ধমানে টোলের সংখ্যা তুলনায় বেশি। সংস্কৃত পাঠের একপ্রকার প্রাথমিক শিক্ষার স্থান এই টোলগুলি। কিন্তু বছরের পর বছর সেগুলি নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায়, অনেকগুলি ধুঁকছে। টোলের পণ্ডিতরা ঠিকমতো বেতন পান না বলেও খবর। কিছু জায়গায় আবার সেরকমভাবে পড়াশোনা হয় না বলেই জানা গিয়েছে। কোন টোলগুলি চলছে আর কোনগুলি বন্ধ বা উঠে যাওয়ার উপক্রম, তার তালিকা বানাবে এই কমিটি। তার সঙ্গে কোথায়, কত পড়ুয়া আছে, তার খোঁজও করবে তারা। সংস্কৃত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পরই টোলগুলি এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে আনা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। নানা জটিলতা থাকার পরও কর্তৃপক্ষ এই টোলগুলি নিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে প্রস্তাব দেয়। সেই মতো তারা অনুমতি দেয়। তাতেও অবশ্য অনেকটাই সময় লেগে গিয়েছিল। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে এই আদ্য এবং মধ্য পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। কেন তা হয়নি, সে ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ মেলেনি।
এর জেরে কয়েক হাজার ছেলে-মেয়ে উচ্চশিক্ষায় যেতে পারেনি বলে অভিযোগ। কারণ স্কুলস্তরের ডিগ্রি না পেলে পরের ধাপে যাওয়া সম্ভব হবে না। ২০০৮ সাল থেকে কেন টোলগুলির পরীক্ষা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এবার সেই পরীক্ষা একবারে নিয়ে নেওয়া হবে নাকি ধাপে ধাপে হবে তা ঠিক হয়নি। এক আধিকারিকের মতে, পড়ুয়ার সংখ্যা দেখেই সেই সিদ্ধান্ত হবে।
তাই এবার বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করেছে, দ্রুত তাদের পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হবে। তারপর নতুন রূপে সিলেবাস তৈরি করে পুনরায় টোলগুলি চালু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংস্কৃত প্রসারে এটা একটা বড় পদক্ষেপ। অনেক পড়ুয়ার সুবিধা হবে। যে বাধা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে যাবে বলেই আমার আশা। লকডাউন না-হলে, এতদিনে এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যেত।