Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

যাও সুখের সন্ধানে যাও
অতনু বিশ্বাস

সাম্প্রতিক ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প গিয়েছিলেন দিল্লির একটি সরকারি স্কুলে। পূর্বনির্ধারিত ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’-এ যোগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুখের ক্লাস দেখতে। দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার সরকারি স্কুলগুলিতে ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’-এর ব্যবস্থা করেছে ২০১৮র জুলাই থেকে। প্রতিদিন ৪৫ মিনিটের ক্লাস। এ আসলে ধ্যান, গল্প বলা, মানসিক অনুশীলন, ইনডোর গেমস, চিন্তাশীল কথোপকথন, মননশীলতার অনুশীলন, স্কিট, আলোচনা, এবং চিন্তার আদান-প্রদানের জন্য ৪৫ মিনিটের একটা বিরতি, বলা চলে। পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হাসা, পরস্পরের ভালো দিকগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টার প্রশিক্ষণও চলে এই সুখের ক্লাসে। এ ধরনের ক্লাস দেখে কিন্তু স্পষ্টতই বেশ প্রভাবিত এবং ভীষণ খুশি মেলানিয়া ট্রাম্প।
দিল্লি সরকারের মতে, এ ধরনের ক্লাস বাড়াবে আত্ম-সচেতনতা, জাগ্রত করবে উদ্দীপনা, তৈরি করবে ভালো মানসিক স্বাস্থ্য ও চরিত্র। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হ্রাস করবে উদ্বেগ, হতাশা এবং অসহিষ্ণুতা। বাড়াবে সহনশীলতা। তাদের তৈরি করবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে। কিন্তু, এসবই কি সুখের চাবিকাঠি? ‘যাও সুখের সন্ধানে যাও’ ডাক তো দেওয়া হল, তবু সংশয় থেকেই যায়-- সুখ কারে কয়।
‘সুখ’ বলতে প্রথমেই মনে পরে আমেরিকা দেশটা প্রতিষ্ঠার ভিত্তির কথা। ১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রস্তুত করেন টমাস জেফারসন। তাতে কিন্তু প্রত্যেক নাগরিককে দেওয়া হয়েছে ‘পারসুট অব হ্যাপিনেস’ বা সুখের সন্ধানে ছোটার অধিকার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাকে রক্ষা করে, এবং অবশ্যই নাগরিকদের এই সুখ-সাধনাকে সযত্নে লালন করা।
আজকের দুনিয়া ‘সুখ’-কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় বইকি। অবশ্য ‘সুখ’ বলতে কে যে কী বোঝে, সে বিষয়ে বিস্তর অস্পষ্টতা থেকেই যায়। সুখ পরিমাপের ধারণাটা এসেছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভুটান থেকে। ১৯৭২ সালে বোম্বে এয়ারপোর্টে ‘ফিনান্সিয়াল টাইমস’ পত্রিকার এক ব্রিটিশ সাংবাদিককে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ভুটানের তৎকালীন রাজা জিগমে সিংহে ওয়াংচুক বলেন, “গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্টের থেকে গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” ভুটান তাদের গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেসের সমীক্ষা শুরু করে অবশ্য অনেক পরে। ২০০৮ সালে। কিন্তু এই ধারণাটাকে লুফে নেয় গোট বিশ্ব। সুখ মাপার প্রচেষ্টা শুরু হয় দুনিয়ার নানা প্রান্তে। যেমন কানাডার ভিক্টোরিয়ায়, আমেরিকার সিয়াটেলে, ব্রাজিলের সাও পাওলোতে। এমনকী ২০১২ থেকে পৃথিবীর নানা দেশের সুখ মেপে এক ক্রমতালিকা বানানো শুরু করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, তাদের ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’-এর মধ্য দিয়ে। সুখ বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সুখ দফতরের মন্ত্রীও নিয়োগ করেছে ভেনিজুয়েলা, সংযুক্ত আরব আমীরশাহির মত দেশ।
সুখ তবে কীসে? সুখের সন্ধানে আমাদের নিরন্তর এষণাও কিন্তু অব্যাহত। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চলেন। দাবি করেন, থিয়েটার দেখলে মন ভালো হয়, বন্ধু কিংবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটালে মনে সুখ আসে, কিংবা বই পড়লেও সুখী হওয়া যায়। জনহিতকর উদ্যোগে যুক্ত থাকাটাও নাকি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে সুখী করে তোলে মানুষকে। কিন্তু দুনিয়ার সব হ্যাপি প্রিন্সের দল কি ‘হ্যাপি’ হতে পারছে এইভাবে? সুখের সন্ধানে শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশের বেশি ধরে গবেষণা হয়েছে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুখী থাকার সব থেকে ভালো উপায় নাকি সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা। একটা সুখী ফ্যামিলিই নাকি সুখী থাকার প্রথম এবং মুখ্য ধাপ। মনস্তত্ত্ববিদ মার্টিন সেলিগ্যাম আবার সুখী থাকার পাঁচটা উপায় বাতলেছেন। খাওয়াদাওয়া, জীবনযাত্রায় নিয়ন্ত্রণ, পারিবারিক বন্ধন, ধর্ম, বিশ্বাস সবই জায়গা পেয়েছে সেই তালিকায়।
দর্শনশাস্ত্রে ‘হেডোনিজম’ বলে একটা ধারণা আছে। সুখের সন্ধান বা পারস্যুট অব হ্যাপিনেসটাই সেখানে জীবনের উদ্দেশ্য। তবে ‘হেডোনিজম’ কিন্তু ভাববাদী সুখ নিয়ে মাথা ঘামায় না বড় একটা, বস্তুবাদী সুখই সেখানে মুখ্য। কিন্তু কেমন বস্তু এই ‘সুখ’? একে কি সত্যিই সংজ্ঞায়িত করা যায়?
মাস্টারকার্ডের একটা বিজ্ঞাপন ছিল, ‘দেয়ার ইজ সামথিং দ্যাট মানি ক্যানট বাই; ফর এভরিথিং এলস, দেয়ার ইজ মাস্টারকার্ড’। আচ্ছা, ওই ‘এভরিথিং এলস’-টাই কি সুখ? নাকি টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না সেই অমৃতটাই সুখের রেসিপি? কে দেবে এর উত্তর? সুকুমার রায়ের ‘রাজার অসুখ’-এর রাজা মশায়ের অসুখ তো সারে না টাকা-পয়সা আর ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও। ওদিকে কপর্দকশূন্য চালচুলোহীন ফকিরের গায়ে জামা নেই, শোবার বিছানা নাই। আর তার সুখেরও শেষ নেই। তা বলে দারিদ্র্যই কি সুখ? হাজার হাজার দরিদ্র কৃষক অর্থাভাবে আত্মহত্যা করে প্রতি বছর। অত্যন্ত ধনী পরিবারের সন্তানের আত্মহত্যার নজিরেরও অভাব নেই। কলকাতার অভিজাত ধনী পরিবারের গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিঘাত তো দেড়শ’ বছর ধরে তাড়িয়ে চলেছে বাঙালিকে। তাই সুখের সঙ্গে সম্পদের সত্যিই কোনও সম্পর্ক আছে?
আমরা ভারতীয়রা কতটা সুখী? রাষ্ট্রসঙ্ঘের সূচকের নিরিখে আমরা পিছিয়ে বেশ। একেবারে পিছনের দিকে। হয়তো সত্যিই তাই, হয়তো নয়। আসলে এই সূচক কতটা নিখুঁত, কতটা ‘সুখ’ মাপা গেল এই সূচক দিয়ে, সে নিয়ে আমার বিস্তর সন্দেহ।
সুখের সন্ধানও কি আর আজকের নাকি? মহাভারতের বনপর্বে দেখি যক্ষ প্রশ্ন করছেন প্রাজ্ঞ যুধিষ্ঠিরকে, কী ত্যাগ করলে ‘সুখ’ পাওয়া যায়? যুধিষ্ঠির উত্তর দিচ্ছেন, ‘অর্থলিপ্সা’। যক্ষ তারপর আবার জিজ্ঞেস করছেন, সুখী কে? যুধিষ্ঠির উত্তর দিয়েছেন, যার ঋণ নেই সে-ই সুখী। দিনান্তে যিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শাকান্ন ভোজন করেন, তিনিই সুখী।
যাই হোক, এত আয়োজন, এত পরিকল্পনা, এত গবেষণা করেও সুখকে কি আদপে ধরা গেল? যুধিষ্ঠির থেকে হার্ভার্ডের গবেষণা যাই বলুক না কেন, আড়াই হাজার বছর আগে হিমালয়ের এক ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যের ‘অসুখী’ রাজকুমার স্ত্রী, পুত্র, পরিবার, রাজ্য, জাগতিক সমস্ত আরাম এবং নিশ্চয়তা ছেড়ে পারি দিয়েছিল কোন সে ‘সুখ’-এর সন্ধানে? সেই আলোকবর্ত্তিকার কোনও হদিশ কিন্তু রাষ্ট্রসঙ্ঘের হ্যাপিনেস ইনডেক্স কিংবা ভুটানের গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস মাপার মাল-মসলার মধ্যে একেবারেই নেই। সুজাতার পরমান্ন সিদ্ধার্থকে করে তোলে বুদ্ধ, আর সেই সঙ্গে জগতকে দিশা দেখাতে শুরু হয় অমিতাভর এক অনন্য জীবন। সংসার ত্যাগ করেন সিদ্ধার্থের প্রায় সমসাময়িক বর্ধমান নামের আর এক রাজকুমারও। যদিও মহাবীর জৈনের সেই যাত্রাপথের দর্শন ছিল খানিকটা ভিন্ন।
আবার সবাই যে ‘সুখ’ খুঁজে ফেরে বা ফিরবে, তেমনটাও হয়তো নয়। রবীন্দ্রনাথের দুর্যোধন যেমন সুখকে ঠেলে ফেলে ছুটেছিল জয়ের পিছনে। বাস্তবে আমরা অধিকাংশ মানুষ হয়তো তাইই করি। কেউ না বুঝে, কেউ হয়তো বা বুঝেও করে চলি আত্মপ্রবঞ্চনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবশ্য ‘জয়’-কেই মনে করি ‘সুখ’। জার্মান দার্শনিক ফ্রেডরিখ নিৎসেও কিন্তু মনে করেন নি, সুখই জীবনের অন্তিম লক্ষ্য।
সব আলোচনার মধ্যেও প্রশ্ন তাই থেকেই যাবে, ‘সুখ’-এর অনুশীলন কি করানো সম্ভব? স্কুলের চৌহদ্দিতে? রীতিমত ক্লাস করিয়ে? ‘সুখ’ কি একান্তই ব্যক্তিগত কোনও উপলব্ধি নয়? তাই দিল্লির স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের ৪৫ মিনিটের ক্লাসের মাধ্যমে আখেরে যা হচ্ছে তা হয়তো তাদের রিল্যাক্স করতে শেখানো, মানসিক চাপ কমানোর অনুশীলন। ছাত্রদের পক্ষে, তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের দিশায় এগুলিও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ, নিঃসন্দেহে। কিন্তু এসব কি আদপেই ‘সুখ’?
সুখের সন্ধান তাই চলতেই থাকবে।
 ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতার রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
07th  April, 2020
মহামারীর কাছে আমরা কেন এত অসহায়?
মৃণালকান্তি দাস

 কেমন যেন স্লো মোশনের একটা সিনেমার দৃশ্যের ভিতরে ঢুকে পড়েছি আমরা! গোটা দুনিয়াটাই হঠাৎ করে যেন আটকে গিয়েছে এক জায়গায়। মানুষের থেকে অনেক ক্ষমতাবান কিছু একটা যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে সবকিছু। চীন, ইতালি, স্পেন ছাড়িয়ে মার্কিন মুলুকেও ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেই ক্ষমতাবান অদৃশ্য শত্রু।
বিশদ

নাগরিক সমাজকেও প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 করোনার ভয়াবহ বিপর্যয় কতদিন ধরে চলবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। আজ সারা পৃথিবীটাই করোনায় আক্রান্ত। শুধু ইউরোপেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
বিশদ

করোনাকালেও অব্যাহত পাকিস্তানের নষ্টামি
হারাধন চৌধুরী

 গত ১৬ মার্চ কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইসিস তার সদস্য ও অনুগামীদের ইউরোপ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে বলেছিল—‘‘দি ল্যান্ড অফ দি এপিডেমিক!’’ লন্ডন থেকে তাদের ‘অ্যাডভাইজারি’ ছিল যে: বিশ্ব মহামারীর এই নতুন কেন্দ্রে তাদের কেউ যেন আপাতত পা না-রাখে এবং ইউরোপে অবস্থানকালে কেউ যদি ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রামিত হয়ে গিয়ে থাকে তবে সে/তারা যেন কোনওভাবেই সংগঠনে এসে ভিড়ে না-যায়।
বিশদ

09th  April, 2020
ড্রেনের জল পরীক্ষা করেই গোষ্ঠী সংক্রমণের আগাম হদিশ মিলতে পারে
মৃন্ময় চন্দ

 নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সারা বিশ্ব প্রকম্পিত। রোগটির চালচলন বিজ্ঞানী বা চিকিৎসক মহলে মোটেই পরিচিত নয়। শুধু চীন কেন, আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ইরান—সর্বত্রই বয়স্কদের উপর বেশি আঘাত হানতে শুরু করেছিল এই মারণ ভাইরাস।
বিশদ

09th  April, 2020
করোনার পরেও আছে এক অন্ধকার সময়
সন্দীপন বিশ্বাস

 কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তখন যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত। তাঁর ওই অবস্থা নিয়ে সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন। ‘আমরা চাঁদা তুলে মারব কীট/... বসন্তে কোকিল কেশে কেশে রক্ত তুলবে সে কীসের বসন্ত!’
বিশদ

08th  April, 2020
জরুরি দ্রুত এবং ব্যাপক জনমুখী পদক্ষেপ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

করোনা ভাইরাস ভারতীয় অর্থনীতির সামনে একই সঙ্গে একটা বড় ধাক্কা এবং কিছুটা সুযোগ দিয়ে গেল। এমনিতেই বৃদ্ধির হার কমতে কমতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। আশা করা যাচ্ছিল এবার হয়তো সেটা ৫ শতাংশের কাছে পৌঁছবে।
বিশদ

08th  April, 2020
গ্যালারি শো কতদিন?
খাবার জুটবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ব্যবসার কাজে হংকং গিয়েছিলেন বেথ এমহফ। কাজ সেরে পার্টি... তারপর দেশে ফেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগো হয়ে যখন মিনিয়াপোলিস ফিরলেন, ততক্ষণে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই, চার, ১৬, ২৫৬... বাড়তে শুরু করল সংখ্যা। সর্দি, কাশি, জ্বর... মৃত্যু। এটাই ছিল চক্র। বিশদ

07th  April, 2020
এখন সবাই জেলবন্দি
পি চিদম্বরম

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) ২০৫টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস হল সংক্রমণ ঘটাতে পটু এক ধরনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বস্তু, যা কেবলমাত্র প্রাণীদেহের জীবিত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে নিজের প্রতিলিপি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলে। বিশদ

06th  April, 2020
ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে কি শেষে
হার মানবে করোনা বিরোধী লড়াই?
হিমাংশু সিংহ

 এই ভয়ঙ্কর মহামারীর দিনে দিল্লির নিজামুদ্দিনে লকডাউন ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের জমায়েত থেকে মানবসভ্যতার কী লাভ হল? কিংবা গত বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে রামনবমীর ভিড়ে ঠাসা মেলায়? সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রামমন্দিরের সামনে মানুষের লম্বা লাইনে?
বিশদ

05th  April, 2020
আত্মঘাতী খেলা
তন্ময় মল্লিক

লড়াইটা আমরা কি ক্রমশই কঠিন করে ফেলছি। লকডাউন ঘোষণার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই লড়াইকে হাল্কা চালে নেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। আর সেটা এই মুহূর্তে রুখে দিতে না পারলে সর্বনাশ অনিবার্য। ইতালি, আমেরিকা, স্পেনের রিপ্লে দেখতে হবে ভারতেও। প্রথমদিকে লকডাউন মানার যে মানসিক দৃঢ়তা আমরা দেখাতে পেরেছিলাম, দিন দিন তা শিথিল হচ্ছে।
বিশদ

04th  April, 2020
হাঁটার গল্প
সমৃদ্ধ দত্ত 

অনেকবার আবেদন করেও আধার কার্ড পায়নি রতু লাল। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করা হলে রেশনও পাওয়া যায় না। সুতরাং সে রেশন পায় না। তার খুব দুঃখ ছিল, সরকারের কোনও কাগজ তার কাছে নেই বলে। সেই কষ্ট ঘুচল। অবশেষে করোনা ভাইরাসের দৌলতে এই প্রথম সরকারিভাবে একটি স্বীকৃতি পেল রতু লাল। কোনও কাগজ, সার্টিফিকেট নয়। আরও স্পষ্ট, আরও সোজাসুজি।   বিশদ

03rd  April, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

02nd  April, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, কাটোয়া: লকডাউনে সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকায় এবার ইউটিউবের মাধ্যমে ‘ই-ক্লাস’ চালু করল কাটোয়ার সুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষকরা প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে ইউটিউবের মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরছেন। পড়ানোর শেষে ছাত্র-ছত্রীদের কাছে ফোন করে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনার প্রভাবে গৃহবন্দি প্রত্যেকেই। সাধারণ কিংবা অসাধারণ, রেহাই নেই কারও। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্ত ব্যক্তিরা অবশ্য কর্মব্যস্ত। কোভিড-১৯’এর চ্যালেঞ্জ টপকে কর্তব্যরত তাঁরা। ...

রাজীব সরকার, শিলিগুড়ি, বিএনএ: করোনার প্রকোপে উত্তরবঙ্গের চা শিল্প। কোভিড-১৯’র কারণে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। পাশাপাশি উৎপাদনও প্রভাব পড়েছে। এই দু’য়ের কারণে বিপুল ক্ষতির মুখে দার্জিলিংয়ের ...

  অর্ক দে, কলকাতা: লকডাউনের মধ্যেই কাজ এগল দ্রুত। টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ প্রায় শেষের পথে। এই সেতুকে ঘিরে উত্তর কলকাতা বা উত্তর শহরতলির মানুষের ৭৫ বছরের সেই ‘আবেগ’ চলে গেল স্মৃতির অতলে। টালা ব্রিজ বা হেমন্ত সেতু এখন শুধুই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের জন্ম
১৯০১: কবি ও সাহিত্যিক অমিয় চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩১ - বিশিষ্ট লেখক নিমাই ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৬৪: বিশিষ্ট শেফ সঞ্জিব কাপুরের জন্ম
১৯৭৩: ব্রাজিলের ফুটবলার রবার্তো কার্লোসের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী আয়েষা টাকিয়ার জন্ম
১৯৯৫: চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের মৃত্যু
২০১৫: অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রিচি বেনোর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.৫৪ টাকা ৭৭.২৬ টাকা
পাউন্ড ৯২.৯৫ টাকা ৯৬.২৭ টাকা
ইউরো ৮১.৪৭ টাকা ৮৪.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২৭ চৈত্র ১৪২৬, ১০ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, (চৈত্র কৃষ্ণপক্ষ) তৃতীয়া ৪০/১৯ রাত্রি ৯/৩২। বিশাখা ৪১/১৫ রাত্রি ৯/৫৫। সূ উ ৫/২৪/৪০, অ ৫/৫১/২১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৬ গতে ৩/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১০ মধ্যে।
২৭ চৈত্র ১৪২৬, ১০ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, তৃতীয়া ৫১/১২/২৪ রাত্রি ১/৫৪/৫৪। বিশাখা ৫১/৫৩/২৭ রাত্রি ২/১১/১৯। সূ উ ৫/২৫/৫৬, অ ৫/৫২/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২/২৯ গতে ১০/৫/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ১০/৫/৪৫ গতে ১১/৩৯/১ মধ্যে।
১৬ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৯৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের জন্ম১৯০১: ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা: বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াল 
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ...বিশদ

09:48:00 PM

করোনা: অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন করে আক্রান্ত হলেন ১৬ জন, মোট আক্রান্ত ৩৮১ 

09:34:22 PM

লকডাউনের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরে গ্রেপ্তার ১১০ জন 

09:27:00 PM

করোনা: ঘরের বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, নির্দেশ পাঞ্জাব সরকারের 

09:25:42 PM

করোনা: তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত আরও ৭৭ 
তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত হলেন আরও ৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ ...বিশদ

07:27:33 PM