ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
আমরা অন্যকে জয় করতে না চাইলে আমাদেরও কেউ জয় করতে পারে না—‘ন জীয়তে ন অনুজিগীষতে অনগন্’। সুতরাং কারুর অমঙ্গলে মন না দেওয়াই শ্রেষ্ঠ আচরণ।
দেবসেবাকার্যে ব্যাপৃত থাকলে মানসিক শান্তির পরাকাষ্ঠা আসে। এসব আচরণ শুধু ব্যক্তি—মানুষের জন্য নয়, একটি পরিবারের সবার মধ্যে এই শুভবৃত্তির অনুবৃত্তি ঘটবে, এটিই কাম্য। যে পরিবারে সরল ব্যবহার, তপস্যা, ইন্দ্রিয় দমন, স্বাধ্যায় সম্পদ, যজ্ঞ (দেব সেবা), পবিত্র বিবাহ আর সর্বদা অন্নদান—এই সব বিদ্যমান সে পরিবারকে ঋষিরা মহাকুল বা মহাবংশ বলে থাকেন।
আর যে সকল বংশ সদাচারবিহীন সেখানে প্রচুর ধনসম্পদ, লোকবল থাকলেও তা হীনকুল বলে গণ্য হয়। আর সদাচারসম্পন্ন হলেই অল্প ধনযুক্ত হলেও সেই সব বংশ মহাকুলের মধ্যে গণ্য হয়। সুতরাং ধনসম্পদ নয়, মানুষের রক্ষণীয় হলো সদাচার। ধন আসে যায়—বিত্তম্ এতে চ যাতি, কিন্তু অক্ষীণো বিত্ততঃ ক্ষীণো বৃত্ততস্তু হতো ইতঃ—অর্থাৎ বিত্তহীন হলেও সদাচারের গুণে অক্ষীণ থাকে মানুষ, কিন্তু সদাচারভ্রষ্ট হলেই সে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়।
মিত্রতা স্থাপন সদাচারের একটা বড় অংশ। ‘মিত্রতা থাকে কি না’ এই আশঙ্কা করে যার সঙ্গে ব্যবহার করতে হয় সে মিত্র নয়—‘মিত্রং শঙ্কিতেন উপচর্য্যম্ ন মিত্রম্’। পিতার উপর যেমন বিশ্বাস রাখা যায় তেমন বিশ্বাস যার উপর আসে সেই মিত্র—‘যস্মিন মিত্রে পিতরি ইব আশ্বসীত তদ্ বৈ মিত্রম্’। এ স্থলে অন্যরা কী? তারা মিলিত হয় মাত্র। এমন মিত্রসংগ্রহে বিরত থাকাই শ্রেয়। সত্যিকার মিত্রদের সম্মান করা, যত্ন করা অবশ্য কর্তব্য। মিত্রদ্রোহ একটা বড় অসদাচার। আবার মহিলাদের সম্মান রক্ষা করাও বড় কর্তব্য—তাঁরা ভাগ্যবতী, পূজনীয়া, পবিত্র, গৃহের আলো এবং লক্ষ্মীস্বরূপা পূজনীয়া। ‘মহাভাগাঃ পুন্যাশ্চ গৃহদীপ্তাঃ গৃহস্য উক্তা তস্মাৎ রক্ষ্যা বিশেষতঃ।’
পরিবারের মঙ্গলের জন্য—পিতার হস্তে অন্তঃপুর, মাতার হস্তে রন্ধনশালা, গো-সেবার জন্য আত্মতুল্য সেবক, ভৃত্যগণকে ব্যবসাবাণিজ্য, পুত্রদের হস্তে অতিথি ব্রাহ্মণ সেবার ভার অর্পণ করে নিজে কৃষিকর্মে গমন করবে—এমন বিধান মহামতি বিদুর দিয়েছিলেন।