ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
হও তবে ডুমুর-গাছটির অবস্থা যেমন হয়, তোমরা কেবল তাই করতে
সমর্থ হবে না, পরন্তু যদি পর্বতটিকে বলো তুমি অপসারিত হও, এবং
সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হও তা-ই হবে এবং বিশ্বাস ও প্রার্থনার সাহায্যে যা-কিছু আকাঙ্ক্ষা করবে তাই পাবে’।
বিশ্বাস বলে রোগনিরাময়কারী ব্যক্তিরা (faith-healers) বিশ্বাসের প্রভূত শক্তির বিষয় অবগত আছেন। অতি-প্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বাস
বলে ভারতবর্ষে রোগ-নিরাময়কারী ব্যক্তিরাও বিশ্বাস-শক্তির কথা জ্ঞাত ছিলেন এবং বহুরকম ব্যাধি তাঁরা এভাবে নিরাময় করেছিলেন।
অধুনা আমেরিকার মেন্টাল সায়েন্টিস্টস্ (Mental Scientists), ডিভাইন্ হিলার্স্ (Divine healers), ক্রিশ্চিয়ান্ সায়েন্টিস্টস্ (Christian Scientists) ও নিউ থটিস্টস্ (New Thoughtists) সম্প্রদায়রা ঐ একই উপায়ে রোগ নিরাময় ক’রে থাকেন।
সুতরাং বিশ্বাসের যে অদ্ভুত শক্তি আছে এ সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নেই। মানব-মন বিশ্বাসরূপ এই বিস্ময়কর শক্তির অধিকারী। এঁকে বিভিন্ন জাগতিক বিষয়ের দিকে অথবা ঈশ্বরাভিমুখী করা যেতে পারে। ইতিহাসপাঠে আমরা জানতে পারি যে, যে-কোন ব্যক্তি যদি ঈশ্বরের বিশেষ নাম-রূপে বিশ্বাসস্থাপন করতে পারে তবে সে তাঁরই সাহায্যে অদ্ভুত সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হবে; আবার অপর কোন ব্যক্তি যদি অবতার, ধর্মগুরু,
মহাত্মা বা কল্পিত মহাত্মা অথবা কোন মূর্ত আদর্শ বা প্রতিমা অথবা স্বীয় আত্মায় বিশ্বাসস্থাপন করে তবে একই ফল লাভ করতে পারে। যে-কোন নামেই আমরা বিশ্বাসের বস্তুকে আরাধনা করি না কেন, এটি কোনরূপ বাধার সৃষ্টি করে না, তবে এটুকু সত্য যে, বিশ্বাসই মহতী শক্তি। এই সত্যের সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত।
স্বামী অভেদানন্দের ‘ঈশ্বরদর্শনের উপায়’ থেকে