ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
যে কোনো ব্যক্তিকে তুমি ভালোবাসতে শেখো, সেই নিষ্কাম ভালোবাসাই দেবে তোমাকে দেবত্বের অপার মহিমা—ব্যক্তির ভেতর দিয়ে তুমি লাভ করবে বিভুকে।
আমি নিতান্ত ক্ষুদ্র মানুষ—আমাকে বড় ভেবো না, কোনো মহতের সঙ্গে আমার তুলনা হয় না। আমি তাদের চরণাশ্রিত এক অধম, অভাজন ব্যক্তি। আমি শুধু তাঁদের নয়—তাঁদের ভক্তদেরও দয়া ভিখারী। আমি যেন মহতকে পূজা করার যোগ্যতা লাভ করি—এ আশীর্বাদ মনে-মনে তোমাদের কাছেও ভিক্ষা করি।
ধন জন মানের আকাঙ্ক্ষা থাকতে প্রকৃত বিশ্বাসের রাজ্যে প্রবেশ করা যায় না। কাম বাধাপ্রাপ্ত হলেই ক্রোধ হয়—এরপর অবিশ্বাস, সন্দেহ, বুদ্ধিভ্রংশ সমস্তই ঘটে, বিচার বিবেকের আলো যায় নিভে।
শ্রীরামচন্দ্র পরব্রহ্ম—তিনি হা-সীতা, হা-সীতা বলে বনে-বনে ক্রন্দন করে ফিরেছেন। ব্রহ্মাও ব্রজের কৃষ্ণকে পরমপুরুষ বলে বিশ্বাস করতে পারেন নি। শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে অন্বেষণ করে কুঞ্জে-কুঞ্জে ভ্রমণ করেছেন। ছোটো হরিদাস কোথায় গেলো—সে খবর মহাপ্রভু তাঁর ভক্তদের কাছে বারবার জিজ্ঞাসা করেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণদেব বলতেন, পঞ্চভূতের ফাঁদে ব্রহ্ম পড়ে কাঁদে। রামদাস কাঠিয়াবাবা তাঁর ঘোড়া হারিয়ে সারাদিন ব্রজের মাঠে মাঠে তাকে অন্বেষণ করে ফিরেছেন। বৈষ্ণব মহাত্মারা প্রত্যেকেই নিত্যসিদ্ধ। শ্রীরূপ গোস্বামীর লীলাদর্শন বন্ধ হ’ল কেন? তা তিনি জানতে পারেন নি। কবিরাজ গোস্বামীর মহাগ্রন্থ ‘শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’ লুণ্ঠিত হলো—কে নিলো, কোথায় গেলো—তারি শোকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। গোস্বামীপ্রভু মহাত্মা যোগজীবনকে জনৈক সাহেবকে জানাতে বলেছিলেন যে কলকাতা গেলে তাঁর সাধন হবে। কিন্তু তাঁর আর কলকাতা যাওয়া হয়নি। শ্রীক্ষেত্রে লীলা সংবরণ করেন। রামদাস কাঠিয়াবাবা গোস্বামীপ্রভুর জনৈক শিষ্যকে বলেছিলেন, ‘যাও, এখন থেকে তোমার রোগ সেরে যাবে।’ কিন্তু তা হয়নি। কেন হলো না প্রশ্ন করা হলে বললেন, কি করবো রামজী আমার কথা রাখলেন না। এ ধরনের আরো অসংখ্য দৃষ্টান্ত দেওয়া যায়। বাসনা না গেলে বিশ্বাস আসে না। বিশ্বাসে মানুষ এমন এক রাজ্যে প্রবেশ করে—সেখানে ইন্দ্রত্বও তুচ্ছ।
যত তাঁর চরণে নিজেকে নিবেদন করবে, শাস্ত্রও মহাজনবাক্য অনুসরণ করে চলবে ততই জীবন ধন্য হবে। সুখ শান্তি সম্পদ সম্মান সমস্ত কিছুর দাতা তিনি। এরচেয়ে বড় সত্য কিছু নেই।