সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
(আলমাদা, মেসি)
বুয়েনস আইরেস: ফের লায়োনেল মেসির জাদু। আর তাতেই মজলেন বিশ্বজোড়া ভক্তরা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শুক্রবার ভোরে প্রথমবার মাঠে নেমেছিল আর্জেন্তিনা। পানামার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় নীল-সাদা জার্সিধারীরা। দু’টি গোলেই রয়েছে মেসির অবদান। প্রথম ক্ষেত্রে তাঁর নেওয়া ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরলে তা থেকে দলকে এগিয়ে দেন থিয়াগো আলমাদা। গোলটি আসে ৭৮ মিনিটে। এর দশ মিনিট পর অসাধারণ ফ্রি-কিকে ব্যবধান বাড়ান এলএমটেন। সেই সঙ্গে পূর্ণ হয় পেশাদার কেরিয়ারে তাঁর ৮০০তম গোল (দেশ ও ক্লাব মিলিয়ে)। জাতীয় দলের হয়ে মেসির গোলসংখ্যা এখন ৯৯। দেশের জার্সিতে আর একটি গোল করলেই ১০০-র ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করবেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে কাতারে মেসির নেতৃত্বে তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বজয়ের স্বাদ পায় আর্জেন্তিনা। কাপ জিতে মেসি বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নামার স্বাদ পেতে চান। শুক্রবার তাঁর সেই ইচ্ছা পূর্ণ হল। এই ম্যাচ নিয়ে বিপুল উৎসাহ ছিল ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। এস্তাদিও মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন ৮৩ হাজার দর্শক। স্টেডিয়ামের বাইরে দুপুর থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসাহীরা। বেশিরভাগেরই পরনে ছিল মেসির ১০ নম্বর জার্সি। বিক্রি হচ্ছিল এলএমটেনের আদলে পুতুল। টিকিটের হাহাকার ছিল চরমে। পরিস্থিতি দেখে ম্যাচ শুরুর ছয় ঘণ্টা আগেই মাঠে আনা হয়েছিল ফুটবলারদের।
ম্যাচে অবশ্য গোলের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা করতে হয়েছে আর্জেন্তিনার সমর্থকদের। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও কাজের কাজ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি আলমাদার গোলে স্বস্তি আসে গ্যালারিতে। আর মেসির গোলে বয়ে যায় উচ্ছ্বাসের ঢেউ। ম্যাচ শেষে মাঠ জুড়ে শুরু হয় উৎসব। আতসবাজির আলোয় উদ্ভাসিত হয় স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপ হাতে ভিকট্রি ল্যাপে অংশ নেন মেসিরা। পরে আর্জেন্তাইন অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসায় ভরিয়ে দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপ দেশে এসেছে। আবার কবে জিতব তাও জানি না। তাই এই মুহূর্ত উপভোগ করুন সবাই।’ কোচ লায়োনেল স্কালোনি বলেন, ‘ফুটবলারদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।’ তাঁর দুই চোখে চিকচিক করছিল জল।