যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
শক্তি: এটিকে মোহন বাগান ম্যানেজমেন্ট গতবারের স্কোয়াড প্রায় দলে রেখেছে। প্রান্তিক আক্রমণ শক্তিশালী। বিশেষ করে লিস্টন কোলাসো, আশিক কুরুনিয়ন, মনবীর সিং স্প্যানিশ কোচের অন্যতম সেরা অস্ত্র। এই দলটার ‘ব্যান্ড মাস্টার’ জনি কাউকো। ফিনল্যান্ডের এই প্লেয়ার রক্ষণ ও আক্রমণের মধ্যে লিঙ্কম্যান হিসেবে কার্যকরী ফুটবল খেলছেন। লিস্টনের সঙ্গে কাউকোর বোঝাপড়া ভালো। মিডফিল্ডার হুগো বোমাসকে সবুজ-মেরুন কোচ কীভাবে ব্যবহার করেন সেটাই দেখার। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে দীপক টাংরি, কার্ল ম্যাকহাগের উপর প্রত্যাশা রয়েছে।
দুর্বলতা: ডুরান্ড ও এএফসি’তে ব্যর্থতার মূল কারণ স্কোরারের অভাব। একইসঙ্গে নড়বড়ে রক্ষণ। আপফ্রন্টে রয় কৃষ্ণার অভাব পূরণ হয়নি। অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড দিমিত্রি পেত্রাতোস এখনও পরীক্ষিত নন। ডুরান্ড কাপে সুযোগ পেলেও তাঁকে ব্যবহার করেননি ফেরান্দো। স্টপার ফ্লোরেন্তিন পোগবা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হতাশ করেছেন। অনুমানক্ষমতা ভালো নয়। বাঙালি ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল সেভাবে নির্ভরতা দিতে পারছেন না। কিয়ান নাসিরি, ফারদিন আলি মোল্লার মতো প্রতিশ্রুতিবান ফরোয়ার্ডদের সুযোগ দিলেও তাদের প্রথম একাদশে সেট করার অভিপ্রায় নেই ফেরান্দোর।
তারকা ফুটবলার: জনি কাউকো, হুগো বোমাস, লিস্টন কোলাসো, আশিক কুরুনিয়ান।
কোচ: হুয়ান ফেরান্দো পরিস্থিতি অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজি খুব একটা পরিবর্তন করেন না। স্ট্রাইকার তত্ত্বে বিশ্বাসী নন। পাসিং ফুটবল ও প্রান্তিক আক্রমণই তাঁর অস্ত্র। বিপক্ষ দল সহজেই তা ধরে নিচ্ছে।
ফর্মেশন: ৪-২-৩-১ বা ৪-৩-৩।
গতবারের ফল: ২০ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তৃতীয় স্থান।
সম্ভাবনা: সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে নিয়ে রয়েছে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। তবে চাপ সামলে কোচ হুয়ান ফেরান্দো সাহসী হতে না পারলে বিপদ অনিবার্য।