যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
সকাল দেখেই বোঝা গিয়েছিল দিনটা প্রোটিয়াদের নয়। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালান আইডেন মার্করাম, ওয়েন পার্নেল, কেশব মহারাজারা। তাঁদের সম্মিলিত প্রয়াসে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে তোলে ১০৬ রান। টার্গেট দেখে অনেকেরই হয়তো মনে হয়েছিল ভারত সহজেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে ফেলবে। কিন্তু সেটা হয়নি। পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে স্বল্প পুঁজি নিয়েও পাল্টা লড়াই চালান রাবাডা, নর্টজেরা। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা শূন্য হাতে মাঠ ছাড়েন রাবাডার বলে আউট হয়ে। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ বিরাট কোহলিও। ৩ রানে নর্তজের ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন ভিকে। দুই তারকার প্রস্থানে উৎকণ্ঠা বাড়ে ভারতীয় সমর্থকদের। তবে ওপেনার লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমারের যুগলবন্দিতে প্রোটিয়া বাধা টপকে জয়ের লক্ষ্যে সহজেই পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ ভারত এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। রাহুল ৫৬ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর সূর্য চেনা মেজাজে ৩৩ বলে ৫০ রানে অপরাজিত।
যশপ্রীত বুমরাহর পুরনো চোট মাথা চাড়া দেওয়ায় এদিন খেলতে পারেননি। বিশ্রাম দেওয়া হয় ভুবনেশ্বর কুমারকেও। কিন্তু সিনিয়রদের অভাব বুঝতেই দিলেন না দীপক চাহার, অর্শদীপ সিংরা। ভারতকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন দীপক। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে বিষাক্ত ইনসুইংয়ে তিনি ছিটকে দেন বাভুমার (০) উইকেট, যা দিনের অন্যতম সেরা ডেলিভারি বললেও অত্যুক্তি হবে না। দ্বিতীয় ওভারে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন অর্শদীপ। তুলে নেন ৩টি উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার চার ব্যাটসম্যান খাতা খুলতে পারেননি। চাহারের বলে অর্শদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে এই তালিকায় নাম লেখান স্টাবসও। ভারতীয় বোলারদের সামনে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন মার্করাম। ২৫ রানে তিনি লেগ বিফোর হন হার্শলের বলে।
আট ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৪২। সেখান থেকে ১০৬ রানে তোলার পুরো কৃতিত্বই দিতে হবে কেশব মহারাজকে। ৩৫ বলে ৪১ রান করে হার্শলের শিকার তিনি। পার্নেলের সংগ্রহ ২৪। ভারতের দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল (৪ ওভারে ১৬) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনও (৪ ওভারে ১টি মেডেন সহ ৮) কৃপণ বোলিংয়ের নজির রাখলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৬-৮ (মহারাজ ৪১, মার্করাম ২৫, অর্শদীপ ৩২-৩, চাহার ২৪-২, হার্শল ২৬-২)। ভারত ১১০-২ (লোকেশ অপরাজিত ৫১, সূর্যকুমার অপরাজিত ৫০)। ভারত জয়ী ৮ উইকেটে।