ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
গত ১-৪ নভেম্বর হরিয়ানার কারনাইলে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিযোগিতায় ২টি সোনার মেডেল পেয়েছে নাদনঘাটের শালিনী। অনূর্ধ্ব ৮ যোগা প্রতিযোগিতার দু’টি বিভাগে সে প্রথম হয়। এই খবর জানার পরেই জাহান্নগরের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। মঙ্গলবার রাতে ভাণ্ডারটিকুরি রেলস্টেশনে নামার পর তাকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। ব্যান্ডপার্টি সহকারে জাহান্নগর মোড়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানের একটি মঞ্চে গ্রামবাসীরা শালিনীকে মিষ্টি, ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সকলকেই মিষ্টি খাওয়ানো হয়। বুধবার সকালে শালিনীর বাড়িতে হাজির হন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি শালিনী ও তার কোচ অভিজিৎ দেবনাথকে উত্তরীয়, ফুলের স্তবক ও মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। স্বপনবাবু বলেন, আমাদের এলাকার মেয়ে ১৪টা দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে প্রথম হয়েছে। দু’টি সোনার মেডেল পেয়েছে। এটা তো আমার, আপনার, সকলের গর্ব। গ্রাম বাংলা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েও যে আন্তর্জাতিক স্তরে সোনার মেডেল নিয়ে আসা যায়, শালিনী সেটা করে দেখিয়েছে। ওর কোচ অভিজিৎকেও ধন্যবাদ জানাই। অভিজিতের প্রশিক্ষণে অনেক ছাত্র ছাত্রী রাজ্য ও জাতীয় স্তরে পদক পেয়েছে। ওর বেতপুকুরে বাড়িতে একটি স্থানীয় প্রশিক্ষণ শিবিরের পরিকাঠামো করে দেব।
শালিনীর বাবা টুটুল দে-র একটি চায়ের দোকান আছে। মা সোনালি দে গৃহবধূ। তাঁদের একমাত্র মেয়ে শালিনী ক্লাস ওয়ানের ছাত্রী। অভিজিৎ দেবনাথের কাছে একবছর ধরে সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। টুটুলবাবু বলেন, সবাই এসে মেয়েকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ ঘোষ মেয়েকে আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি শালিনী যাতে যোগাসন চর্চা চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য সকলের কাছে সহযোগিতা আশা করি।
অন্যদিকে, অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া রামিষাও মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরে। সেও হরিয়ানায় আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সোনা পায়। মঙ্গলবার রাতেই রামিষার বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্বপনবাবু। আগামী দিনে রামিষাকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে রামিষাকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি তপন পোড়েল সহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
কালনা শহরের ডাঙাপাডার বাসিন্দা রামিষার দাদা অসীম দফাদার বলেন, বোনের ছোট থেকেই যোগার প্রতি আগ্রহ প্রবল। ওর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ইতিমধ্যে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে বেশ কয়েকটি যোগা প্রতিযোগিতায় ভালো সাফল্য পাওয়ার পর ১ থেকে ৪ নভেম্বর হরিয়ানায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় নেমে ও স্বর্ণ পদক পায়। মেয়ের সাফল্যে খুশি রামিষার বাবা রহমত দফাদার ও মা আসমাতারা বিবি। স্বপনবাবু বলেন, অমি ওকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। আশাকরি আগামী দিনে ও আরও সাফল্য পাবে। আমরা ওর পাশে আছি।