স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো ছাড়াও চলতি শিক্ষাবর্ষে নতুন আবেদনকারীদেরকেও একইভাবে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। তাহলে আবেদনকারীদের আধার নম্বরের সঙ্গে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করা হয়েছে কেবলমাত্র তাতেই টাকা ঢুকবে। সাইবার প্রতারকরা সেক্ষেত্রে অন্য অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারবে না।
বাঁকুড়া জেলা অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক সন্টু দাস বলেন, সাইবার প্রতারকদের খপ্পর থেকে রেহাই পেতে সম্প্রতি প্রশাসনিক স্তরে রাজ্য থেকে একটি ভিডিও কনফারেন্স হয়। সেখানে ওয়েসিস প্রকল্পের আবেদনকারী সকল পড়ুয়ার বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ায় এখনও পর্যন্ত ১৫হাজার আবেদনকারীর নাম সংশ্লিষ্ট পোর্টালে রয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়া হবে। নতুন যারা আবেদন করবে তাদেরও একইভাবে আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। তার প্রস্তুতি চলছে। প্রতিটি ব্লকে মোট তিনটি করে ডিভাইস দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়া নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়। বাঁকুড়াতেও বেশকিছু পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওয়েসিস প্রকল্পের আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও যাতে সেরকম কোনও ঘটনা না ঘটে তারজন্য আধার কেন্দ্রিক বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাঁকুড়ায় প্রায় ১০হাজার আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্তি ছিল না। প্রায় দু’মাস ধরে বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ, ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের সহযোগিতায় সেগুলো প্রায় সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ফাঁকফোকর যাতে না থাকে সেজন্য এবার পড়ুয়াদের বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়া হবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্তি থাকা আধার কার্ডের ছাপের সঙ্গে আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক ছাপের মিল হলে তবেই ওয়েসিস প্রকল্পের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়ারা ওয়েসিস প্রকল্পে প্রি-মেট্রিক ও পোস্ট মেট্রিক স্কলারশিপ পায়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্তি না থাকায় ২০২২সাল থেকে বাঁকুড়ায় প্রায় ১০হাজার পড়ুয়ার স্কলারশিপ আটকে রয়েছে। সম্প্রতি তা ঠিকঠাক করা হয়েছে। সেগুলি ছাড়াও আরও ৫ হাজার আবেদনকারী রয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই এবার বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়া হবে। তারপরেই স্কলারশিপের টাকা ছাড়া হবে। ইতিমধ্যে প্রতিটি হাইস্কুলের নোডাল টিচারের বায়োমেট্রিক ছাপ ডিভাইসে সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপরে প্রধান শিক্ষকের নেওয়া হবে। তারপরে আবেদনকারী পড়ুয়াদের ছাপ নেওয়া হবে।