স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতীক্ষ্ণের বাড়ি শান্তিনিকেতনের সেবাপল্লিতে। বাবা দেবেন্দ্রনাথবাবু বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনে কর্মরত। গত ১৫ বছর ধরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে বসবাস করছেন। সুতীক্ষ্ণ প্রথমে শান্তিনিকেতনের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ত। পাঠভবনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী সে। রবিবার ঘর থেকে বেরনোর সময় তার পরনে ছিল সাদা হুডি ও কালো জিন্সপ্যান্ট। দেবেন্দ্রনাথবাবুর পারিবারিক বন্ধু তথা সহকর্মী প্রদীপ মণ্ডল বলেন, সুতীক্ষ্ণ পড়াশোনায় খুবই মেধাবী, বাড়িতে কখনও বকাঝকাও করা হয়নি। কেন এভাবে নিখোঁজ হল বুঝতে পারছি না। তবে বয়স অল্প হলেও সুতীক্ষ্ণ অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের মেলা চলছে। সেখানে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই বিষয়গুলি শান্তিনিকেতন থানায় জানানো হয়েছে। পুলিসের দেওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্ট্যান্ডে প্রথমে সে সাইকেল রাখে। দুপুর সাড়ে ৩টেয় আপ বালুরঘাট এক্সপ্রেসে তাকে চাপতে দেখা গিয়েছে। যা বালুরঘাটের দিকে যায়। অর্থাৎ প্রয়াগরাজের বিপরীত রুট। তাই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন রয়েছি। সুতীক্ষ্ণর বাবা দেবেন্দ্রনাথবাবু বলেন, ওর ফেলে যাওয়া মোবাইল থেকে জানতে পেরেছি বেশ কিছুদিন ধরে মহাকুম্ভ ও কোয়েম্বাটুরের এক সদগুরুকে নিয়ে গুগলে সার্চ করছিল। ঘর থেকে নগদ ১০হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের দিকে কেন গেল তা বুঝতে পারছি না। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি। শান্তিনিকেতন থানার এক আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কুম্ভমেলায় পুলিসের একটি দল পাঠানো হবে।