স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
প্রাণীদের গা গরম রাখতে খাবারের তালিকাও পরিবর্তন করা হয়েছে। দুই প্রধান চিড়িয়াখানা দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক এবং শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে প্রাণীদের শীতের থেকে বাঁচতে এই আয়োজন করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। রাজ্য জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, শীতের সময় প্রাণীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরীসৃপ প্রাণীরা, বিশেষ করে সাপ এই সময় শীতঘুমে চলে যায়। সেজন্য তাদের ক্ষেত্রে খুব একটা পরিবর্তন করা হয়নি। তবে যাতে ঠাণ্ডা হাওয়া না লাগে সেজন্য কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং সিংহদের ক্ষেত্রে ভোরের দিকে ব্লোয়ার ও হিটার জ্বালানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বিজয় কুমার বলেন, আমরা ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে প্রাণীদের রক্ষায় সবরকম ব্যবস্থা করেছি। হিটার, ব্লোয়ার রাখা হয়েছে। হরিণ, গণ্ডার-সহ অন্যান্য প্রাণীদের বাদাম দেওয়া হচ্ছে। সিংহ, চিতাবাঘ, বাঘের মতো মাংসাসী প্রাণীদের ক্ষেত্রে শরীর গরম রাখতে খাসি, ছাগলের মাংস দেওয়া হচ্ছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে নাইট শেল্টারে কর্মীদের বিশেষ করে রাত বারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত পশুদের উপর বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে। প্রত্যেক শেল্টারে তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মোমিটার দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে। শীতের সময় মাংসাসী প্রাণীদের খাবারের পরিমাণ নিয়ম করে বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে পশুদের জন্য রাজকীয় আয়োজন করেছে চিড়িয়াখানা ও বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ।