অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
বিভিন্ন মঠ মন্দিরগুলিতে প্রতিদিন পুণ্যার্থী ও পর্যটকরা মন্দির দর্শনে ভিড় করছেন। প্রতিদিনই নবদ্বীপ ও মায়াপুরে যাবার লঞ্চ ও নৌকাগুলিতে স্থানীয় যাত্রীর থেকেও ভিনদেশী মানুষের সংখ্যা বেশি। মায়াপুর ইসকন মন্দিরের গেস্ট হাউসগুলিতে ইতিমধ্যেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় সব ঘর বুক করে নিয়েছেন পর্যটকরা।
মায়াপুরের হুলোর ঘাটের এক হোটেল ব্যবসায়ী মধু সিকদার বলেন, শীত পড়তেই প্রতিদিনই মায়াপুরে ঘর ভাড়ার ব্যবসা বাড়ছে। মায়াপুর ফেডারেশন অব হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দেবনাথ বলেন, মায়াপুরের প্রায় ৫০টির মতো হোটেল ও লজ আছে। আমরা ব্যবসার সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও খেয়াল রাখছি। আশা করছি ছুটির দিনে ও নতুন বছরের শুরুতে ভিড় ভালোই হবে।
মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, এখনই ভিড় উপচে পড়ছে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে। প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ ভিড় করছেন। এখন আমরা জায়গা ও পরিষেবা দিয়ে পেরে উঠছি না। সামনের দোলে যারা আসবে তারা এখন থেকেই বুকিং করে নিচ্ছেন। তাই আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত ভিড়ের কোনও খামতি নেই। ইসকনের সমস্ত গেস্টহাউস অনলাইনে প্রায় বুকিং হয়ে গিয়েছে।
নবদ্বীপ থানার আইসি জলেশ্বর তেওয়ারি বলেন, পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের মায়াপুর ও নবদ্বীপ ভিড় বাড়তেই আমাদেরও নজরদারি বেড়েছে। মায়াপুরে ও নবদ্বীপে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এমনিতেই সব সময় পুলিসি ব্যবস্থা থাকে। বিশেষ বিশেষ দিনে অতিরিক্ত পুলিসি ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ১ জানুয়ারি উপললক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিস অফিসার, মহিলা পুলিসকর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার ফেরিঘাট থেকে রাস্তায় সর্বত্রই মোতায়েন করা হচ্ছে। বিশেষ নজরদারির জন্য ভ্রাম্যমাণ পুলিসের গাড়ি সর্বত্র নজরদারি চালাবে। এছাড়া বিশেষ দিনগুলিতে জলপথে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা রুখতে ফেরিঘাটগুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনীর কর্মীরাও প্রস্তুত থাকবেন। • নিজস্ব চিত্র