অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ লাগোয়া রমণাবাগান জুলজিক্যাল পার্কের বিভিন্ন এনক্লোজারে চিতা, ভাল্লুক, হরিণ, ময়ূর, বানর, সজারু, কুমির, শেয়াল সহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি দেখতে পাওয়া যায়। তবে আরও বেশি করে পর্যটক টানতে বাঘ, সিংহ, জিরাফ সহ বহু প্রাণী নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে বাঘ নিয়ে আসার বিষয়ে জোর তত্পরতা শুরু করেছে।
পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারি পার্ক ও দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিনিময় প্রথার মাধ্যমে যে কোনও একটি জায়গা থেকে বাঘ নিয়ে আসা হবে। বাঘের বদলে কী পাঠানো হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে প্রথম পর্যায়ে এক জোড়া বাঘ নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তারমধ্যে একটি পুরুষ অন্যটি স্ত্রী বাঘ থাকবে। বুধবার বড়দিন। বর্ষবরণের কাউন্টডাউনও চলছে। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের ভিড় বাড়ার আশায় আপাতত জানুয়ারি মাসে বৃহস্পতিবারও পার্ক খোলা থাকছে। কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত প্রতি বৃহস্পতিবার পার্ক বন্ধ থাকে। কিন্তু পর্যটকদের কথা ভেবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে আগামী দিনে অনলাইনে টিকিট বুকিং পদ্ধতি চালুর ভাবনাচিন্তা রয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ থাকা ওয়াচ টাওয়ার নতুন করে চালু সহ পরিবেশবান্ধব গাড়ির সাহায্যে কার সাফারি শুরুর ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। পার্কে ঘুরতে আসা দক্ষিণ দামোদরের বাসিন্দা অনন্ত কোনার বলেন, দীর্ঘদিন পর বেড়াতে এসেছি। তবে এখন আগের চেয়ে পশু-পাখি কম রয়েছে। বাঘ এলে এখানকার আকর্ষণ আরও বেড়ে যাবে।