অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
তবে এবছর স্থানীয় পঞ্চায়েত একেবারে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। সোমবার মন্দিরের মাইক থেকেই এই সম্পর্কিত মাইকিং করা হয়। বলা হয়েছে, বড়দিন থেকে যাঁরা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় পিকনিক করবেন, তাঁরা কোনওমতে প্লাস্টিক বা ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও কোনওভাবে ডিজে বক্স বাজানো যাবে না। নির্দেশ লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। পিকনিক স্পটে যে স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবেন, তাঁরাই এসব নিয়ে নজরদারি চালাবেন। সঙ্গে পুলিস পিকেটও থাকছে। এই নির্দেশকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এদিন সেখানে কান্দি শহরের একটি দল পিকনিক করতে এসেছিল। ওই দলের সদস্য শুভময় সিনহা বলেন, পঞ্চায়েতের এতটা কড়া হওয়া উচিত হয়নি। এত টাকা জরিমানা অনেকের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ অনেকে ভুল করেও ক্যারিব্যাগ সঙ্গে নিয়ে আসে।
তবে মন্দির কমিটি এসব শুনতে নারাজ। মন্দির কমিটির সম্পাদক গৌরব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে শুধু পঞ্চায়েত, মন্দির বা কৃষিজমির ক্ষতি হচ্ছে, তাই নয়, পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। মন্দিরের পরিবেশ রক্ষার্থে পঞ্চায়েত ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবক দলও পঞ্চায়েতকে সাহায্য করবে। পাশাপাশি উচ্চস্বরের সাউন্ড সিস্টেম বন্ধেও পঞ্চায়েত ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। এদিন মন্দিরের মাইক থেকেই পঞ্চায়েতের নির্দেশ বারবার ঘোষণা করা হয়েছে। এবিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান মধুমিতা পাল বলেন, বিগত বছরগুলিতে আমরা পিকনিক পার্টিকে বারবার এই বিষয়ে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তেমন কাজ হয়নি। তাই এবছর একটু কড়া হতে হল। এতে গোটা সমাজ উপকৃত হবে। নিজস্ব চিত্র