মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তেহট্ট-২ বিডিও অফিস প্রাঙ্গণে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের ট্রাই সাইকেল, হুইল চেয়ার দেওয়ার কাজ চলছিল। সেই সময় পঞ্চানন ঘোষ নামে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন প্রণয়বাবু। তাঁকে একটি হুইল চেয়ার দেওয়া হয়। ওই হুইল চেয়ার উনি চালাতে পারবেন না বলে জানান। সেইসময় প্রণয়বাবু তাঁকে ট্রাই সাইকেল দিতে বলেন। বিডিওর অভিযোগ, এভাবে ওই হুইল চেয়ার বদল করা যাবে না বলতেই প্রণয়বাবু তাঁকে গালিগালাজ, হুমকি দেওয়া শুরু করেন। এমনকী ওই ট্রাই সাইকেল দেওয়া বন্ধ করার হুমকি দেন। বিডিওর আরও অভিযোগ, ওই নেতাকে ডাকা না হলেও উনি গণ্ডগোল পাকানোর জন্য বিডিও অফিসে আসেন। এরপরেই বিডিও বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। বুধবার বিকেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে থানায় অভিযোগ করেন।
বিডিও বলেন, প্রণয় ঘোষচৌধুরীকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উনি এসেই সরকারি কাজে বাধা দেওয়া শুরু করেন। সেই সঙ্গে আমাকে গালিগালাজ, মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা মতো ওঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করি।
এবিষয়ে প্রণয়বাবু বলেন, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আমি ওই সংস্থার সদস্য। সেই কারণে ওই জায়গায় গিয়েছিলাম। পঞ্চানন ঘোষ নামে বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। উনি হুইল চেয়ার চালাতে পারবেন না বলে আমি তা বদল করে ট্রাই সাইকেল দেওয়ার কথা বলেছিলাম। এমন সময় বিডিও আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। আমাকে বিডিও অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। আমি এই কথার প্রতিবাদ করি। কিছুক্ষণ পর বিডিও অফিস থেকে বেরিয়ে আসি। আমি বিডিওকে কোনও গালিগালাজ বা হুমকি দিইনি। কোনও খারাপ ব্যবহারও করিনি। আমার দুর্নাম করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে।