মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মাঠে বসে বোমা তৈরি করছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিস আসার খবর পেয়ে সেগুলি মাঠে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি ঘাসজমির ভিতর থেকে ব্যাগভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। কারা বোমাগুলি ফেলে পালিয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এদিকে বহরমপুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই বাড়ির এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। বাড়িতে বোমা মজুত করার অভিযোগে বাচ্চু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বহরমপুর আদালতে তোলা হলে পাঁচদিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে বহরমপুরের পাকুড়িয়ার মুসাহারপাড়ার একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বহরমপুর থানার পুলিস। তদন্তে নেমে বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। বাচ্চু কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। শাসকদলের নেতাদের দাবি, একসময় এলাকায় কংগ্রেসের হয়ে সন্ত্রাস চালাত বাচ্চু ও তার দলবল। একাধিক অভিযোগে জেলও খাটে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়িতে বোমা মজুত করে রাখার পিছনে কী কারণ তা পুলিসের খতিয়ে দেখা দরকার। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনী সিংহরায় বলেন, পুলিস উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। বোমা-বারুদ নিয়ে কংগ্রেস যে রাজনীতি করে মানুষ তাকে সমর্থন করে না। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ রায় দিয়ে তা বুঝিয়ে দেবে। যার বাড়িতে বোমা ফেটেছে সে কংগ্রেসের পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন ধরে ও এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ আছে বলেই তো পুলিস ধরেছে। বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের রায় মেনে নিতে পারবেন না তৃণমূল এবং কংগ্রেসের নেতারা। মানুষ আমাদের সমর্থন করবে। তাই আগে থেকে এলাকায় সন্ত্রাস করে মানুষের ভোটদানের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। কখনও কংগ্রেস আবার কখনও তৃণমূল। একই মুদ্রার দুই পিঠ ওরা। আর পুলিস নির্বিকার।
কংগ্রেস নেতা মাহফুজ আলম ডালিম বলেন, শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, গোটা রাজ্যই বোমা-বারুদের উপর দাড়িয়ে আছে। সাগরদিঘির পর কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট এত ভালো হয়েছে যে তৃণমূল আমাদের ভয় পাচ্ছে। তৃণমূল নেতারাই আতঙ্কিত। টিকিট না পেলে কী যে করবে ওরা সেটা কেউ জানে না। কত যে রক্ত ঝড়বে, তার ঠিক নেই। এই জেলায় মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তাই বোমা-অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে শাসকরা। ওরাই মজুত করে আমাদের নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।