মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
বাতুর, মহম্মদপুর, দিঘা, টিঠিডাঙ্গা ইত্যাদি গ্রামগুলি খড়গ্রাম ব্লক এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম বলে পরিচিত। সেখানে পানীয় জলের জন্য আজও বাসিন্দাদের ভরসা টিউবয়েল। বহু বছর ধরে পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করছেন বাসিন্দারা। জলস্বপ্ন প্রকল্পে ওই গ্রামগুলির প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছবে।
খড়গ্রাম ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসিন্দাদের দাবি মোতাবেক প্রশাসন কয়েকমাস আগে রাজ্য সরকারের কাছে জলস্বপ্ন প্রকল্পের আবেদন করে। ব্লক প্রশাসনের আবেদনে অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েতে জল প্রকল্পের অনুমোদন মেলে। এলাকায় মোট ৩২টি জল প্রকল্প তৈরি করা হবে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ব্যয় ২০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। সবকটি প্রকল্পের জন্য টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। কয়েক জায়গায় কাজও শুরু হয়েছে। বাকিগুলিও শুরুর প্রস্তুতি চলছে। তবে কয়েকটির ক্ষেত্রে জমি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এনিয়ে বুধবার খড়গ্রামের বিডিও প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে বিডিও পরিষ্কার ভাবে জানান, প্রকল্পের কাজে ঢিলেমি চলবে না। দ্রুত কাজ করতে হবে। জমি সংক্রান্ত সমস্যাও মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। বিডিও বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে গোটা খড়গ্রাম ব্লক এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এদিন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রশাসনিক কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওই প্রকল্পে রির্জাভারে জল ধরে তা পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে যাবে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে দিঘা গ্রামের তুঁত চাষি অনন্ত মণ্ডল বলেন, গ্রামে পাইপ লাইন দিয়ে জল আসবে তা ভাবতেই পারছি না। হলে তো খুবই উপকার হয়। বালিয়া পঞ্চায়েতের সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা তপনকুমার ঘোষ বলেন, আমাদের প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল আসবে শুনেই অবাক লাগছে। স্থানীয় বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, এই এলাকায় কয়েকটি গ্রামে পিএইচই প্রকল্পের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ হয়ে থাকে। তবে জলস্বপ্ন প্রকল্পে গোটা ব্লক এলাকা এর আওতায় আসবে। রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী এক বছরের মধ্যেই এখানকার প্রতিটি পরিবার পানীয় জল পাচ্ছেন।