মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
কান্দি পুরসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হল কান্দি মহকুমা আদালত চত্বর। আদালতের পশ্চিমে রয়েছে কান্দি মহকুমা শাসকের অফিস। আদালতের উত্তরে রয়েছে কান্দি পুরসভার অফিস। এই এলাকায় কাজের সূত্রে প্রতিদিন হাজারের বেশি মানুষের আসাযাওয়া। কিন্তু ব্যবস্থা নেই পর্যাপ্ত পানীয় জলের।
বাসিন্দারা জানান, কান্দি মহকুমা আদালত চত্বরে দু’টি টিউবয়েল রয়েছে। কিন্তু দু’টিই অকেজো। কান্দি মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে দু’টি টিউবয়েল রয়েছে। তার একটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কান্দি পুরসভার পিছন দিকের গেটের কাছে একটি মাত্র টিউবয়েল রয়েছে। যদিও সেটা খুঁজে পাওয়া দুরূহ। ফলে পানীয় জলের জন্য একমাত্র ভরসা মহকুমা শাসকের অফিসের সামনের টিউবয়েলটি। সুলভ পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। বুধবার খড়গ্রামের মহিষার থেকে আসা কামরুন্নেসা বেগম বলেন, গোটা এলাকা খুঁজে পানীয় জল পাচ্ছিলাম না। অবশেষে এসডিও অফিসের সামনে টিউবয়েলের দেখা মিলল। সেখানেও লাইন দিয়ে জল খেতে হচ্ছে। এই সমস্যা শুধু ওই মহিলার একা নয়। ওই তিন জায়গায় কাজ সারতে আসা বাইরের বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোটা এলাকায় চরম পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। সহজ পদ্ধতি হল, দোকান থেকে জল কিনে খাওয়া।
সমস্যা আদালতের আইনজীবীদেরও। সরকারি আইনজীবী সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, আদালত চত্বরে দু’টি টিউবয়েল রয়েছে। কিন্তু দুটিই খারাপ। পুরসভায় বলা হয়েছে। তাই প্রতিদিন একটি করে জলের গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে পানীয় জলের সমস্যা এখানে রয়েছে। কান্দি মহকুমা শাসকের অফিসের এক অফিসার বলেন, অফিসের ভিতরে ফিল্টার যুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে। অফিসের বাইরের বিষয়ে পুরসভা দেখাশুনা করে। কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক বলেন, মহকুমা শাসকের অফিস থেকে বললে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হতো। এই তিন এলাকাতেই পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।