যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
মহাষষ্ঠীর সকালে রামপুরহাট, দুবরাজপুর সহ জেলার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন হয়। স্থানীয় বিধায়ক থেকে বিশিষ্টরা ফিতে কেটে পুজোর উদ্বোধন করেন। এদিনও কাপড়, জুতোর দোকানে একইরকম ভিড় দেখা যায়। শপিং মলগুলিতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিকেল হতেই কার্যত জনপ্লাবন নামে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাস্তাঘাটে পুলিস, সিভিক ভলান্টিয়ারদের মোতায়েন করা হয়। পুলিসের পাশাপাশি এনসিসি পড়ুয়াদেরও ভিড় মোকাবিলায় দেখা যায়। ঘট ভরার আগে জলাশয় ও নদীতে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত আছে কিনা তা দেখে নেয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা দূরে ঠেলে রেখে বিগ বাজেটের মণ্ডপের সামনে লম্বা লাইন দেখা যায়।
গত দু’বছর করোনার কারণে পুজো মণ্ডপগুলিতে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। এবার সেরকম কোনও বিধিনিষেধ নেই। তাই পঞ্চমীর রাত থেকেই রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। ঘড়ির কাঁটা এগনোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভিড়ও বাড়ে। অনেকে আবার ভিড় এড়াতে সকাল সকাল ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন। রামপুরহাটের বাসিন্দা সবিতা দাস বলেন, রাতে অনেকসময় বাড়ি ফেরার গাড়ি পাই না। তাই সকাল সকাল পুজোগুলি ঘুরে গেলাম। এদিন রামপুরহাটের বেশকিছু পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন করেন বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও পুজোয় দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের রাস্তাগুলিও সংস্কার করা হয়।
সিউড়ির বাসিন্দা শুভময় চক্রবর্তী বলেন, অনেকদিন থেকেই শুনছি সপ্তমী, অষ্টমী ভারী বৃষ্টি হবে। সেই দুর্ভোগের ভয়ে ষষ্ঠীর দিনই কিছু মণ্ডপ ঘুরে নিলাম। প্রতিটি পুজো মণ্ডপই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি পুজোর থিম চোখ ধাঁধানো। তবে শহরের যানজট নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। দিনে রাস্তায় অতিরিক্ত টোটো রাস্তায় থাকার কারণে সিউড়ি, সাঁইথিয়া, বোলপুরের রাস্তায় যানজটের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। জেলা পুলিস যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় মোকাবিলায় কাজ করছে। তাদের সাহায্য করার জন্য স্কুল, কলেজগুলির এনসিসি পড়ুয়ারাও রাস্তায় নেমে পড়েছে। ভলান্টিয়ার হিসেবে তারাও যানজট মোকাবিলা করছে।
পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, পুলিস সবসময় সজাগ রয়েছে। প্রতিটি পুজো কমিটিকে গাউডলাইন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি থানার হেল্পলাইন নম্বর সবাই সঙ্গে রাখবেন।