শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
১০০দিনের কাজ, স্বাস্থ্যসাথী থেকে খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সরকারি গৃহ সহ রাজ্য সরকারের সমস্ত জনমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা সর্বস্তরের মানুষ পাচ্ছে কি না, কোনও প্রকল্পের কাজ আটকে আছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই মূলত এই বৈঠক করা হয়। সভায় জেলাশাসক বলেন, আমাদের একটাই পরিচয়, আমরা ‘টিম বীরভূম’। আমাদের একটাই লক্ষ্য, সরকারি নির্দেশনামা মধ্যে থেকেই জেলাকে এক নম্বরে নিয়ে যাওয়া। দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা ফের মিটিং করব। তবে এখনকার মতো দু’-তিন ঘণ্টা ধরে নয়। তখন এক ঘণ্টা মিটিং করব। বাকি সময় টিম তৈরি করে কোথায় কী উন্নয়নমূলক কাজ চলছে তা ফিল্ডে গিয়ে দেখব। সেইসঙ্গে ১০০দিনের কাজ, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, বার্ধক্য ভাতা, সরকারি বাড়ি সহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না এবং রাস্তঘাটের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না দেখব। তিনি বলেন, জেলায় আমি দ্বিতীয়বারের জন্য এসেছি। আমার কাছে পারফরমেন্সই প্রথম ও শেষ কথা। যেকোনও দুর্নীতি, বেনিয়ম মানব না। সুতরাং সে দিকে দৃষ্টি রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।
এদিন মুরারই-২ ব্লকেও রিভিউ মিটিং করেন তিনি। সেখানেও পড়ে থাকা কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলির সঙ্গে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬আগস্ট থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ ও ১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প শুরু হবে। জেলাশাসক বলেন, করোনা আবহে যেখানে অন্যান্য অর্থনৈতিক কাজকর্ম খুব ধীরে হচ্ছে, সেখানে ১০০দিনের কাজ সহ অন্যান্য পরিষেবাগুলি সঠিক সময়ে করে ইউজিসি জমা দিতে হবে। যাতে পরবর্তী বরাদ্দ পেতে অসুবিধে না হয়।
উল্লেখ্য, জেলার ১৯টি ব্লকে পৌঁছে উন্নয়নমূলক কাজের রিভিউ মিটিং করবেন জেলাশাসক। এ পর্যন্ত আটটি ব্লকে এমন মিটিং হয়েছে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস, বিডিও প্রণব চট্টরাজ সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্তা ও পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যরা।