গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বাম কর্মী- সমর্থকদের উপরই গেরুয়া শিবিরের জয়-পরাজয় নির্ভর করছে। নেতাদের কথামতো ঘর ওয়াপসি হলে বিজেপি প্রার্থীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য। সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষাল বলেন, আমরা মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছি। যথেষ্ট ভালো সাড়া পাচ্ছি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে কারা বিজেপিকে সমর্থন করেছিল, তা বলতে পারব না। তবে এবার আমাদের ভালো ফল হবে। দুর্গাপুরে শিল্পায়ন নিয়ে তৃণমূল বা বিজেপি কেউই ভাবেনি। শ্রমিকদের স্বার্থে আমরাই লড়াই করছি। সেসব মানুষ জানে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষ ঠিক করে নিয়েছে কাকে ভোট দেবে। সিপিএম এবং তৃণমূল কেউ কিছু করেনি। এখানে মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে জেতার জন্য এসেছি। সমস্ত স্তরের মানুষ আমাদের ভোট দেবেন।
দিলীপবাবু মুখে যাই বলুন না কেন তাঁর দলের নেতারা আড়ালে মানছেন বাম ভোটেই তাদের নয়নের মণি। সেই ভোট না পেলে তাদের অবস্থা মণিহারা ফণীর মতোই হবে। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন, রাজ্যে উন্নয়ন দিদি করেছেন। তাই এই কেন্দ্রের ভোটাররা আমাদের সমর্থন করবেন।
দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপি এবং তৃণমূল দু’পক্ষই টার্গেট করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা করেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন। দুর্গাপুর সব হিসেব ওলটপালট করে দিতে পারে তা দু’পক্ষই জানে। তাই কেউই জমি ছাড়তে রাজি নয়। আর কমরেডরা ইস্পাতনগরীতে নীরবে ‘অপারেশন’ চালাচ্ছেন। আদৌ তারা ঘরের লোকদের নিজেদের দিকে ফেরাতে পারে কি না জানা যাবে আগামী ৪জুন।