শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
অন্যদিকে, এদিনই বিশ্বভারতীর তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে কর্তৃপক্ষ নজরদারির জন্য সিসি টিভি লাগিয়েছে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের মিছিল শুরুর আগেই সেন্ট্রাল অফিসকে নো-ডিস্টার্ব জোন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন বিকেলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে একটি নোটিস জারি করা হয়।
ওই নোটিসে বলা হয়েছে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং সহ সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, অ্যাকাডেমিক ও রিসার্চ সেকশনকে নো ডিস্টার্ব জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই স্থানগুলির সামনে কোনওভাবে জমায়েত, মিছিল বা বিক্ষোভ করা যাবে না বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই নির্দেশ পালনের জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের কাছে সাহায্য চেয়েছে। বিশ্বভারতীর ভবন, বিভাগ, ডিপার্টমেন্ট, সেকশন প্রত্যেক স্তরের ডিরেক্টর, অধ্যক্ষ, প্রোক্টর ও প্রধান সহ পড়ুয়াদের উদ্দেশে এই নোটিস জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণায় বিশ্বভারতীতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারাও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিগত দিনে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে একাধিকবার জমায়েত, বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। তাই সেখানকার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এদিন থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজও শুরু করেছে। এ ব্যাপারে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই সেন্ট্রাল অফিসের সামনে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে অন্য কোনও যুক্তি নেই। তাছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংকে নো-ডিস্টার্ব জোন করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর ক্ষেত্রেও সেটি কার্যকর করা হল।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি বিশ্বভারতীতে সিএএর সমর্থনে লেকচার দিতে এসে বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত সহ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ঘেরাও হন। টানা প্রায় ৫ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর পড়ুয়ারা বিক্ষোভ তুলে নিলে তাঁরা মুক্ত হন। সেই ঘটনার পর থেকেই বিশ্বভারতী কার্যত উত্তাল হয়ে উঠেছে। গত ১৫ জানুয়ারি রাতে বিশ্বভারতীর হস্টেলে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে গত শুক্রবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে বিতর্কিত ছাত্র নেতা অচিন্ত্য বাগদির কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতে উপাচার্যকে বাইক বাহিনী নিয়ে আসার, ওষুধ দিয়ে দেওয়ার মতো নানা রকম উস্কানিমূলক কথা বলতে দেখা ও শোনা গিয়েছে। ওই ভিডিও বাইরে আসতেই বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ঐক্যের পক্ষ থকে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জানানো হয়। সেই ঘটনায় ছাত্রছাত্রীরাও ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছেন। এদিন উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক স্লোগান দিয়েছেন পড়ুয়ারা।
এ ব্যাপারে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ফাল্গুনি পান বলেন, এদিন মিছিল করা হয়নি। তবে উপাসনা মন্দিরের সামনেই বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়। উপাচার্যের মদতে বিশ্বভারতীর ছাত্রদের মারধর করা হয়েছে। তাই তাঁর পদত্যাগের দাবি যেমন করা হয়েছে, তার সঙ্গে এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর প্রত্যাহার করার ডাকও দেওয়া হয়েছে।
তাঁর দাবি, সেন্ট্রাল অফিসের সামনে সিসি টিভি লাগানো ও নো-ডিস্টার্ব জোন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনকে দমানোর লক্ষ্যেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তা করেছে বলে আমরা মনে করছি। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকে দমানোর যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে।