গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
খড়্গপুর শহরে গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল অনেক ভোটে পিছিয়ে যায়। বিধানসভা ভোটেও তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হন। এবার বহু ভাষাভাষীর রেল শহরে ঘুরে দাঁড়াতে তৃণমূল কোমর বেঁধে নেমেছে। প্রার্থীর রোড-শো ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কোর কমিটির সদস্য তথা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী বলেন, বুধবার রেল এলাকা দিয়েই প্রার্থীর রোড-শো শুরু হবে। তাঁকে ২৪, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রচার শুরু হবে। সেটি বিজেপি কাউন্সিলারের ওয়ার্ড। পরদিন বৃহস্পতিবার ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী রোড-শো করবেন। এর মধ্যে ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কাউন্সিলার রয়েছেন। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এলাকার বিধায়ক তথা ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কোর কমিটির অপর এক সদস্য তথা প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, প্রার্থী মূলত গাড়িতে এলাকায় এলাকায় ঘুরবেন। কোথাও হেঁটেও ঘুরবেন। রোড-শো ঘিরে দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় রোড-শোর মাধ্যমে জনসংযোগ করেন। কোথাও গাড়ি করে, আবার কোথাও হেঁটে ঘোরেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবানপুরে পার্টি অফিসের উদ্বোধনও করেন। এখানে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের নাম করে বলেন, কান খুলে শুনে নিন। আপনি যদি আমাদের কর্মী ও কর্মকর্তাদের ধমকে, চমকে ভোট লুট করবেন ভাবেন, তাহলে ভুল করবেন। এরপরই তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, আপনার সঙ্গে পুলিস, প্রশাসন আছে। আর আমাদের সঙ্গে জনতা আছে। দেখব কে জেতে। পুরসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বোমাবাজি, পিস্তল নিয়ে দুষ্কৃতীদের দাপটের অভিযোগ উঠেছিল। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর ঘোষ বলেন, আমাদের কাউকে চমকাতে, ধমকাতে হয় না। ওরাই আরপিএফ’কে দিয়ে ধমকাচ্ছে, চমকাচ্ছে। মেদিনীপুরের ছেড়ুয়াতে প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া।-নিজস্ব চিত্র