গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এদিন দুই কেন্দ্রে মোট ৩৭৮৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে মোট ক্রিটিকাল বুথের সংখ্যা ছিল ৭১৫। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে মোট ৭৬২টি ক্রিটিকাল বুথ ছিল। সেখানে বাড়তি নজর ছিল কমিশনের। তবে কোনও বড় অশান্তি ছাড়াই ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। তৃতীয় দফায় এই দুই কেন্দ্রে মোট ২৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়। মুর্শিদাবাদে মোট বুথের সংখ্যা ১৯৩৮ এবং জঙ্গিপুরে ১৮৫১। সকালের দিকে কয়েকটি বুথে ইভিএম খারাপ হওয়ার জেরে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। তবে দ্রুত সেগুলি বদলে ফেলা হয়। এদিন প্রত্যেকটি বুথেই ওয়েবকাস্টিং করা হয়। দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তর থেকে সরাসরি প্রত্যেকটি বুথের ভোটগ্রহণ দেখেছেন কমিশনের কর্তারা। এদিন ভোট ঘিরে হিংসা ও আতঙ্কের ছবি উধাও হয়ে যাওয়ায় বিরোধীরাও কোনও অভিযোগ করতে পারেনি। তবে নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
বাহিনী মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান। তিনি বলেন, পাঁচ-ছয়টি বুথে পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দিয়েছে বাহিনী। ভোটারদের লাইনে প্রভাবিত করেছেন তাঁরা। এমন অভিযোগ পেয়ে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। সব জায়গায় মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদান করেছেন। ভোটের পার্সেন্টেজও বেশ ভালো হয়েছে।
জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, ভোট সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোথাও কোনও রকমের ছোট গণ্ডগোলের অভিযোগও আমরা পাইনি। কয়েকটি ইভিএম খারাপের অভিযোগ এসেছিল। সেগুলি আমরা তৎক্ষণাৎ সেক্টর অফিসারকে জানিয়ে বদলের ব্যবস্থা করেছি। আমি সারাদিনই অনেক বুথে গিয়েছি ও সেখানে উৎসবের ছবি দেখেছি। সাধারণ মানুষ একে অপরের সঙ্গে গল্প করে খোশ মেজাজে ভোট দিয়েছেন।
তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে জঙ্গিপুরের বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষের হুঁশিয়ারি। সূতিতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির সঙ্গে বুথের বাইরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ঘটনার পরেই তৃণমূলের তরফে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ধনঞ্জয়বাবু বলেন, একুশের বিধানসভায় শীতলকুচির ঘটনা আমরা শুনেছিলাম। সেরকমও করতে পারে নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনী।