কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
যদিও স্বপ্নাদেবীর পরিবারের দাবি অস্বীকার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বাভাবিক নিয়মেই চিকিৎসা হয়েছে। সেই চিকিৎসাতেই সাড়া মিলেছে, সাফল্য কর্তব্যরত চিকিৎসকদের। এব্যাপারে হাসপাতালের সুপার ডাঃ দেবদাস সাহা বলেন, স্বাস্থ্য ভবন বা সিএমও থেকে এমন কোনও ফোন আমার কাছে আসেনি। মেডিক্যাল কলেজ নিজস্ব পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে তৎপরতার সঙ্গে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মানসিক সমস্যা হওয়ায় গত ৯আগস্ট রাতে করিমপুর হাসপাতাল থেকে স্বপ্না সাহাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। ১০আগস্ট ভোর তিনটে নাগাদ তাঁকে হাসপাতালের ফিমেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডের এক্স-৮ বেডে ভর্তি করা হয়। স্বপ্নাদেবীর ছেলে সায়ন সাহা বলেন, মা চিৎকার করছিল, হাত-পা ছোঁড়াছুঁড়ি করায় বেডে বেঁধে রাখা হয়েছিল। মুখ বাঁধা অবস্থায় চিৎকারের চেষ্টা করায় মায়ের মুখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও মায়ের কোনও চিকিৎসাই শুরু হয়নি। বেলা ১২টা পর্যন্ত একই অবস্থায় ফেলে রাখায় স্বপ্নাদেবীর দাদার স্ত্রী দেবী সাহা তাঁর নম্বর থেকে ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে কল করেন। দেবী সাহা বলেন, ১২টা ৩১মিনিটে আমি প্রথম ফোন করি। আমার অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়। আধ ঘণ্টা পরেও চিকিংসকদের কোনও তৎপরতা না দেখতে পেয়ে ফের ফোন করি। তখন আমাকে বলা হয়, চিন্তা করবেন না সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বপ্নাদেবীর পরিবারের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই চিকিংসকদের মধ্যে অস্বাভাবিক তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। দুই চিকিৎসকের মেডিক্যাল টিম দু’ঘণ্টার চেষ্টায় রোগীকে অনেকটা স্বাভাবিক করে তোলেন। পরদিন সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ায় স্বপ্নাদেবীকে ছেড়েও দেওয়া হয়। বর্তমানে করিমপুরের বাড়িতে স্বাভাবিক রয়েছেন বলেই দাবি পরিবারের। পাশাপাশি পরিবারের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন অস্বীকার করছে জানি না। তবে আমাদের মনে হয়, ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে জানানোয় তৎপরতার সঙ্গে চিকিৎসা হয়েছে।