কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে হবিবপুর বিডিও অফিসের মোড় থেকে হবিবপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে এই রাস্তা এই রাস্তা স্টেশন পর্যন্ত যাচ্ছে। সামান্য পাঁচ-সাত মিনিটের বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যায়। তাছাড়া, খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা বর্ষায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাস্তায় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এনিয়ে একাধিকবার পঞ্চায়েত অফিসে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। প্রতিবাদে এদিন অবরোধে শামিল হয় এলাকার বাসিন্দারা। অবরোধ চলাকালীন জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন রানাঘাটের সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার। অবরোধে তাঁর কনভয় আটকে যায়। তিনি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার অবস্থা পরিদর্শন করেন।
বেহাল রাস্তার জন্য জগন্নাথবাবু শাসক দলের কাটমানি খাওয়াকে নিশানা করে বলেন, রাজ্যে রাস্তাঘাট প্রচুর হচ্ছে। কিন্তু, দলীয় নেতাদের কাটমানি দিতে গিয়ে ঠিকাদারদের অর্ধেক টাকা চলে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা নিম্নমানের রাস্তা তৈরি করেছেন। এটা বাংলার মানুষের দুর্ভাগ্য।
রানাঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, কাটমানি আমাদের নেত্রীর কথা। তাছাড়া, উনি কাটমানি ফেরতের কথা বলছেন। কিন্তু ব্ল্যাকমানি ফেরত দেওয়ার কথা তাঁদের নেতারা বলেন না। তবে রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে।
রানাঘাটে-১ ব্লকের অধীনে থাকা তারাপুর, গাজীপুর, পোলতা, কলাইঘাটা, আমদার বিল, নপাড়া, মুসুণ্ডা, প্রেমেরডাঙা সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে রেলস্টেশন, বাজার, স্কুল, ব্যাঙ্কে যাতায়াত করেন। রাস্তাটি বেশ কিছু অংশ মাসখানেক আগে পূর্ত দপ্তর সংস্কার করেছে। তেঁতুলতলা মোড় সংলগ্ন এলাকায় এই রাস্তার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। অথচ সেখানে রাস্তা সংস্কারের কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার এই অংশ জাতীয় সড়কের অধীনে রয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এই রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নিচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ প্রামাণিক বলেন, রাস্তা সংস্কার করা নিয়ে প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। তাই এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেছে। অপর এক বাসিন্দা গৃহবধূ রাধারানি সরকার বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় জল জমে যায়। যাতায়াত করতে খুবই অসুবিধা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য হবিবপুরের এই এলাকা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করে। কিন্তু, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ ওই এলাকায় এখনও শুরু হয়নি। তাই ওই বেহাল রাস্তার প্রায় ২০০ মিটার অংশ সংস্কার করার ক্ষেত্রে পূর্ত দপ্তরও উদ্যোগ নেয়নি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও পূর্তদপ্তরের টানাপোড়েনের জেরে বেহাল রাস্তার পুরোটা সংস্কার হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট-১ ব্লকের বিডিও সঞ্জীব সরকার বলেন, আমি এখানে নতুন দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। তবে এই ব্যাপরে খোঁজ নিয়ে অবশ্যই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।