কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
চেয়ারম্যান বলেন, ছুটির দিনেও আমরা কাজ করব। শনিবারও অফিস খুলে রাখব। কর্মীদের বলেছি, প্রয়োজনে রবিবারও কাজ করতে হবে। কয়েক মাস সেভাবে কাজ না হওয়ায় বহু ফাইল জমা রয়েছে। আমরা শহরবাসীকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আর সময় নষ্ট করতে চাই না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ট্রেড লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সহ কেউ আবেদন করলে তাঁকে তা দু’ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া হবে। এছাড়া ডেথ সার্টিফিকেট, ওবিসির জন্য বংশ পরিচয়ের সার্টিফিকেটও দু’ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া হবে। তবে তার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে হবে। জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য নথি হাসপাতাল বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে পুরসভায় আসার পরেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। কাগজ আসার দু’ঘণ্টার মধ্যে সেই সার্টিফিকেটও দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এই কাজ দেখভালের জন্য একজন কাউন্সিলারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর ফোন নম্বর পুরসভায় দেওয়া থাকবে। কেউ কোনও পরিষেবা না পেলে ফোন করে ওই কাউন্সিলারকে জানাতে পারেন। তিনি তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেবেন। চেয়ারম্যান বলেন, থমকে থাকা শহরের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিও দ্রুত শুরু করা হবে।
শহরের বাসিন্দারা বলেন, প্রতিশ্রুতিমতো কাজ শুরু হলে শাসকদল আবার জনতার আস্থা ফিরে পাবে। কারণ বিগত কয়েক মাস সেই অর্থে কোনও কাজ হয়নি। যে কয়েকটি কাজ হয়েছে তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। বিশেষ করে শহরে পথবাতি বসানো নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। অনেকেরই দাবি, ওই প্রকল্পে যে পরিমাণ খরচ দেখানো হয়েছে সেই কাজ বাস্তবে হয়নি। এছাড়া আরও কয়েকটি প্রকল্পেও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রসঙ্গত, বিরোধী শূন্য ডোমকল পুরসভায় চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তৃণমূলের সৌমিক হোসেন। পিছিয়ে পড়া এই শহরে তিনিই শেষ কথা বলতেন। কিন্তু, এক সময়ের তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৫জন কাউন্সিলার বেঁকে বসেন। বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাঁর বিরুদ্ধে চলে যান ওই ১৫ জন। কিছু দিন পর তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। তা নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন চলতে থাকে। বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব দু’পক্ষকেই কলকাতায় ডেকে বৈঠক করেন। কিন্তু, তাতেও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। অবশেষে আনাস্থা ভোটে সৌমিকবাবুর বিরোধী গোষ্ঠী জয়ী হয়। ভোটাভুটিতে সৌমিক অংশ গ্রহণও করেননি। পরে জাফিকুল ইসলামকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
নতুন চেয়ারম্যান বলেন, আগে কী হয়েছে সেসব বিতর্ক দূরে রেখে এখন আমরা উন্নয়ন করতে চাই। শহরের বাসিন্দারা উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে যাতে বঞ্চিত না হন সেদিকে নজর দেওয়া হবে। কোথাও রাস্তা বেহাল থাকলে তা সংস্কার করা হবে। পানীয় জলের সমস্যা থাকলে সেটাও মেটানোর চেষ্টা করা হবে।