বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এবার মোট ভোটার ছিলেন ৩৮লক্ষ ৮৬হাজার ৬৮জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিলেন ২০লক্ষ ১০হাজার ৩১০জন ও মহিলা ভোটার ছিলেন ১৮লক্ষ ৭৫হাজার ৬৯৯জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ৫৯জন। ভোট দিয়েছেন ৮৫.১০শতাংশ ভোটার। সংখ্যার বিচারে ভোট দিয়েছেন ৩৩লক্ষ ৬ হাজার ৯৬৪জন ভোটার। তারমধ্যে ১৬লক্ষ ৭৫হাজার ৮৮৪জন পুরুষ ও ১৬ লক্ষ ৩১হাজার ৬৯ মহিলা ভোট দিয়েছেন। ১১জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ভোট দিয়েছেন। তমলুক লোকসভা কেন্দ্র শুধু নয়, জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে হলদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে। এখানে মোট ৮৮.৬১শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভোট পড়ার হারের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের খেজুরি বিধানসভা কেন্দ্র। এখানে ভোট পড়েছে ৮৭.৭২ শতাংশ। এছাড়া মহিষাদলে ৮৭.০৬ শতাংশ, ভগবানপুরে ৮৭.০৩ শতাংশ। কাঁথি উত্তরে ৮৬.৬৬ শতাংশ, পটাশপুরে ৮৬.৬৫ শতাংশ, চণ্ডীপুরে ৮৬.৫৭ শতাংশ, নন্দকুমারে ৮৬.৩৬ শতাংশ। তমলুকে ৮৫.৬২ শতাংশ, ময়নায় ৮৫.৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। নন্দীগ্রামে ৮৪.৪৪ শতাংশ ও কাঁথি দক্ষিণে ৮৪.২১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এছাড়া এগরায় ৮২.৫৪ শতাংশ, পাঁশকুড়া পশ্চিমে ৮১.৯৬ শতাংশ ও রামনগরে ৮১.৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। জেলার মধ্যে সব থেকে কম, ৭৯.৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে পাঁশকুড়া পূর্ব অর্থাৎ কোলাঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে।
ভোট প্রাপ্তির এই হার দেখে রাজনৈতিক মহলে বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। কে এগিয়ে কে পিছিয়ে, এই বিশ্লেষণের মধ্যে শাসক দলের মধ্যেও লিড নিয়ে হিসেব-নিকেশ শুরু হয়েছে। তবে হলদিয়া ও নন্দীগ্রাম ছাড়া জেলার অন্য কোনও বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে বিরোধীদের বড় কোনও অভিযোগ নেই। ফলে জেলার সিংহভাগ এলাকায় মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দেওয়ায় ফলাফল কার পক্ষে যাবে, তা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও ভোট পরবর্তী বিশ্লেষণে ব্যস্ত। তবে যাই আলোচনা চলুক না কেন, ভোট মিটতেই শাসক শিবির ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে।
বিজেপির তমলুক জেলা সাধারণ সম্পাদক নবারুণ নায়ক বলেন, তমলুক কেন্দ্রের হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের সিংহভাগ বুথে শাসক দল প্রশাসনের সহায়তায় ভোট লুট করেছে। অন্যান্য জায়গায় মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। আমরা দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে নতুন করে ভোট চেয়েছি। এছাড়া অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে আমরা আশাবাদী।
সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি বলেন, বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট না করলে তৃণমূল জিততে পারবে না। হলদিয়া তার সব থেকে বড় উদাহরণ। আমরা বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।
তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ উন্নয়নের পাশে থাকে। আমরা উন্নয়ন করার পাশাপাশি সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। সেই কারণেই এদিন জেলার সমস্ত এলাকার মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। লোকসভা উপনির্বাচনের লিডকে ছাপিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।