বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই দু’জন টাকা নিয়ে আসানসোল স্টেশনে যাচ্ছেন বলে কমিশনারেটের পুলিসের কাছেও আগে থেকেই খবর ছিল। সেই মতো হীরাপুর থানার পুলিস তাঁদের ‘ফলো’ করার চেষ্টা করে। পরে জিআরপি একটি নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গৌতমবাবুর শিল্পাঞ্চলে আনাগোনা ছিল। তিনি দিলীপবাবুর সঙ্গেও বেশ কয়েকবার আসানসোলে এসেছিলেন। সেই সূত্রে শহরের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কও রয়েছে।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীকান্ত দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা হলেও এরাজ্যে তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই সংগঠনের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশে কাজ করেছেন। আসানসোলেও তাঁর আসা যাওয়া ছিল। যদিও বিজেপি নেতা পবন সিং বলেন, ওই নামে কোনও সংগঠককে আমরা কাউকে চিনি না।
তদন্তকারীরা টাকার উৎসকে চিহ্নিত করতে না পারলেও ওই টাকা যে নির্বাচনের কাজেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেসম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে পেরেছে। প্রসঙ্গত, সোমবার আসানসোল স্টেশনে এক কোটি টাকা সহ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক সহ আরও একজন গ্রেপ্তার হয়। ধৃত গৌতমবাবু ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেন, পুরো টাকা বিজেপির। নির্বাচনের জন্য তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। দিলীপবাবু অবশ্য দাবি করেন, এক সময় তিনি তাঁর আপ্ত সহায়ক থাকলেও এখন অন্যজন তাঁর কাজ দেখেন।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, হাওলার মাধ্যমেও বার্নপুরের ওই ব্যক্তির কাছে টাকা আসতে পারে। যার কাছে থেকে ধৃতরা টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন তাকে গ্রেপ্তার করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এই চক্রে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে। তবে আপাতত সিআইডির র্যা ডারে বার্নপুরের ওই দু’জন রয়েছে। পুলিস কমিশনার লক্ষ্মী নারায়ণ মিনা বলেন, সিআইডি বিষয়টি দেখছে।