বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
মাস খানেক আগেই কাটোয়া শহরের সার্কাস ময়দান চত্বরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ঘটনার সূত্রপাত হয়। অভিযোগ, ওই ব্যাঙ্কেরই তৎকালীন ডেপুটি শাখা ম্যানেজার প্রায় কুড়িজন গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কখনও অ্যাকাউন্ট খোলার নাম করে, কখনও ফিক্সড ডিপোজিট করার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে। কিন্তু, ওই টাকা ব্যাঙ্কে জমা করেননি। কিন্তু, তারপর আর তাঁর কোনও খোঁজই পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরেই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে ওই অফিসারের নামে লিখিত অভিযোগ জানান। যদিও গ্রাহকদের দাবি, ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে জানিয়েও কোনও ফল হচ্ছে না। বরং তাদেরই হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
কাটোয়ার মাধাইতলার বাসিন্দা মায়ারানি ঘোষ বলেন, আমার কোনও ছেলে নেই। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর বাড়িতে আমি একাই থাকি। ব্যাঙ্কের এক অফিসার আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে বুঝিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট করবে বলে আমার শেষ সম্বল দু’লক্ষ টাকা নিয়ে আসেন। পরে আমি ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি, ওই অফিসার আদৌ ব্যাঙ্কে ওই টাকা জমা করেননি। এছাড়াও কাটোয়ার পানুহাটের বৈদ্যপাড়ার বাসিন্দা স্বপন পালের কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার নাম করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আবার কারও কাছ থেকে ওই অফিসার ৭ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ।
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অফিসার গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে যদি টাকা আদায় করেও থাকেন তিনি সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেননি। বিষয়টি জানার পরই ওই অফিসারকে অন্যত্র বদলি করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
এদিন গ্রাহকদের চাপের মুখে ব্যাঙ্কের কাটোয়া শাখার ম্যানেজার সেফাইত হোসেন বলেন, আমি পুরো বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি, গ্রাহকরা কেউ প্রতারিত হবেন না।