বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করেই বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেক লড়াই হয়েছে গত কয়েক মাস। অনেক বিভাজন, আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছে। ওরা ভেবেছিল কানাইয়াদা আর করিম সাহেব লড়াই করবে। আর মাঝখান দিয়ে তারা বেরিয়ে যাবে। আর প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে দাঙ্গা লাগাবে, রাতে আগুন লাগাবে, বাস পোড়াবে আর পুলিস, প্রশাসন, সরকারে একেবারে ত্রাহি ত্রাহি রব তুলে দেবে। আমরা সেই গুঁড়ে বালি দিয়েছি।
শুভেন্দু আরও বলেন, এই আসনে জয় পরাজয় নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে সেই দিনই যেদিন মমতা বন্যোিেপাধ্যায় করিম সাহেবকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আর কানাইয়াদা মনোনয়নের দিন করিম সাহেবের সঙ্গে হেঁটেছেন। কাজ সেদিনই হয়ে গিয়েছে। সকলকে বলব আপনারা এমপি পেয়েছেন। আমার বিশ্বাস চাকুলিয়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, করণদিঘি থেকে কানাইয়াদাকে লক্ষের বেশি লিড দেবে। আমি জানি রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জে কিছু সমস্যা আছে। সে কথা আজ বলছি না। কানাইয়া ও করিম চৌধুরী দুই জনেই জিতবেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের উন্নয়নের কাজে লাগাবেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি দিল্লিতে আসছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী সরকার হবে। সমস্ত বিজেপি বিরোধী পার্টি এক হবে। দিল্লিতে এক নতুন সরকার হবে। তার চাবি থাকবে দিদির হাতে।
পয়লা জুন থেকে ১৮ মাসের মধ্যে মা মাটি মানুষের সরকার ইসলামপুরকে যা দিতে চলেছে তা আপনারা ভাবতেও পারবেন না। ইসলামপুর হচ্ছে মিনি ভারতবর্ষ। গেট ওয়ে অব নর্থবেঙ্গল। ইসলামপুরকে আমরা সাজাবো। উন্নয়ন করব। আমি নিশ্চিত আপনারা ইভিএমে ১ নম্বর বোতাম টিপে জননেতা আবদুল করিম সাহেবকে জয়যুক্ত করবেন। তারপরে আমরা সবাই মিলে বিজয় সমাবেশ করব। আমাদের ভাবি এমপি এবং ভাবি বিধায়ককে বড় ফুলের মালা পরাব। সেদিন সবাই লিখে আনবেন কোথায় কী করতে হবে। কোথায় রাস্তা লাগবে, কোথায় নলবাহিত জল লাগবে, কোথায় ব্রিজ লাগবে। আমরা সেগুলি দিদির কাছে পৌঁছে দেব। আপনাদের কাজ হবে।
সবার শেষে বক্তব্য রাখেন করিম চৌধুরি, এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, কানাইয়া দলের জন্য ত্যাগ করেছে। তার জেতা আসন ছেড়ে দিয়ে লোকসভায় দাঁড়িয়েছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন তুমি এমন করলে? উত্তরে কানাইয়া বলেছিল দিদি ঘোষণা করেছেন। তাঁর নির্দেশ। আমি বুঝতে পারি কানাইয়া দলের কথা শোনে। মানুষটি ভালো। আমার মনোনয়নে এক নম্বর প্রস্তাবক হিসেবে ও স্বাক্ষর করেছে।
এই দিনের সভায় পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী গৌতম দেব, পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, দলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য, ব্লক সভাপতি জাকির হুসেন, টাউন সভাপতি গঙ্গেশ দে সরকার, তৃণমূল নেতা জাভেদ আখতার, কামালউদ্দিন যেমন ছিলেন তেমনি পুরনো তৃণমূল নেতা তিলক চৌধুরী, অসীম ঘোষদেরও মঞ্চে দেখা যায়। এদিনের সমাবেশে দীর্ঘদিন দলে ব্রাত্য থাকা অনেকে এসেছিলেন।