বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিন হবিবপুরের সভায় দুপুরের চড়া রোদ উপেক্ষা করে আমজনতার যেমন ভিড় দেখা গিয়েছে, তেমনি বামনগোলার রোড শো’তেও জনস্রোত উপচে পড়েছিল। হবিবপুরের সভা করেই হেলিকপ্টারে শুভেন্দুবাবু বামনগোলাতে যান। সেখানে দলের উত্তর মালদহের প্রার্থী তথা রাজ্যনেত্রী মৌসম বেনজির নুর, দলীয় প্রার্থী অমল কিস্কু, জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়ে রোড শো করেন। দীর্ঘ পথে কখনও গাড়ির উপর থেকে, কখনও নেমে তিনি উন্নয়নের স্বপক্ষে ভোট দিতে সকলকে আবেদন করেন। রোড শো’কে কেন্দ্র করে পাকুয়াহাটে গণউন্মাদনা তৈরি হয়েছিল।
মালদহের হবিবপুর উপনির্বাচনী জনসভাতে শুভেন্দুবাবু বলেন, এই কেন্দ্রে অন্যদল জিতলে মুখ্যমন্ত্রী বদলাবে না, সরকার বদলাবে না। আর তৃণমূল জিতলে আগামী ২৮ মাস হবিবপুরকে উন্নয়নের ভরিয়ে দেওয়া হবে। উন্নয়ন প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, বৈষ্ণবনগরে বিজেপি বিধায়ক জিতেছেন। খোঁজ নিয়ে দেখুন এক টাকারও উন্নয়ন করতে পারেননি। বলেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় উন্নয়ন হবে। এক টাকাও কেন্দ্র থেকে আনতে পারেননি। আর আমরা আদিবাসীদের জন্য জওহর থান বাঁধিয়ে দিয়েছি, নমঃশূদ্রদের জন্য বোর্ড গড়েছি, অলচিকি ভাষাতে পড়ানো শুরু করেছি। এবার জিতেলে হবিবপুরের ভোল বদলে দেব। মন্ত্রী তথা জেলা পর্যবেক্ষক এদিন শুধু উন্নয়নের কথাই বলেননি, কীভাবে উন্নয়ন করা হবে তাও আমজনতাকে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে দিন। আমি দু’মাস অন্তর অন্তর হবিবপুরে এসে অঞ্চল প্রতি বৈঠক করব। আমজনতার কাছ থেকে উন্নয়নের তালিকা নেব। সেই তালিকা ধরে কাজ করা হবে।
এদিন তিনি হবিবপুরে অকাল নির্বাচনের জন্য বিজেপি ও খগেন মুর্মু’কে বিঁধেছেন। শুভেন্দুবাবু বলেন, এই নির্বাচন, প্রবল গরমে আপনাদের কষ্ট আমরা চাইনি। খগেন মুর্মুর এমপি হওয়ার লোভ এই অকাল নির্বাচন ডেকে এনেছে। তাঁকে প্রশ্রয় দিয়েছে বিজেপি। মনে রাখবেন বিজেপি এনআরসি, নাগরিকত্ব বিল করতে চাইছে। সেই বিল হলে কিন্তু ধর্মের নামেও কেউ পার পাবেন না। হবিবপুরের মানুষ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাস করেন। বিজেপিকে আনা মানা বিপদ ডেকে আনা। আপনাদের বিদেশি করে দেবে, মনে রাখবেন। মন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে নিজের পালনীয় ধর্মকে গুলিয়ে ফেলবেন না। খগেনবাবুদের সৌজন্যে যে অনুন্নয়ন হয়েছে সেই পরিস্থিতি বদলাতে তৃণমূলকে একবার জিতিয়ে আনুন। যদি কাজ না করি তবে পরের ভোটে জামানত বাজেয়াপ্ত করিয়ে দেবেন।