বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
মোট ৩৯টি ছবির মাধ্যমে একটি গোটা গল্প ফুটিয়ে তুলেছেন তথাগত। তাঁর ভাবনাকে চমত্কারভাবে বাস্তবায়িত করেছেন প্রিয়াঙ্কা। পুরো গল্প জুড়ে রয়েছে এক অন্তহীন প্রতীক্ষা। এই প্রতীক্ষা একটা সময় শেষ হয়। প্রশান্তির ছাপ ফুটে ওঠে অপেক্ষারতা প্রিয়াঙ্কার মুখে। একটি বনেদি বাড়ির বউ সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে এলো চুলে গালে পান গুঁজে অপেক্ষা করে। এখানে যে টেলিফোন আসার কথা, সেই টেলিফোনটি আসে। অশ্রু নয়নে সেই অপেক্ষরতার ঠোঁটে হাসি খেলে যায়। দর্শকের কাছে সেই আগন্তুকের জন্য সাজতে থাকে অপেক্ষরতা। এভাবেই অপেক্ষার আকাশে কখনও মেঘ, কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি। সাদা-কালো ছবির পৃথিবীতে তথাগত-প্রিয়াঙ্কার অপেক্ষা রোদ পিছলে যাওয়া ত্বকের মতোই মসৃণ এবং উজ্জ্বল।
প্রিয়াঙ্কা কিছুদিন আগেই শ্যুটিংয়ে চোট পেয়েছিলেন। সেই চোট নিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাজির প্রদর্শনীতে। লাল পাড় সাদা শাড়ি আর গয়নাতে ঝলমলাচ্ছিলেন এই অভিনেত্রী। আর তথাগত দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। এদিন সাংবাদিকরাই যখন তাঁদের একত্রে সাক্ষাত্কার নিচ্ছেন, তখন তাঁরা একত্র হচ্ছেন। বাকি সময় মডেল এবং চিত্রগ্রাহক দুইপ্রান্তে। এসবের মাঝেই হাজির প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়। তথাগত এবং প্রিয়াঙ্কা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সবকটা ছবি দেখালেন। ছবির সঙ্গে এক লাইন করে লেখার পরামর্শ দিলেন তিনি। স্টাইলিং ও মেকআপ করেছেন যথাক্রমে ঐন্দ্রিলা বসু ও অভিজিত্ চন্দ।
তবে একটা কথা পরিষ্কার, সাম্প্রতিক অতীতে চিত্র প্রদর্শনী নিয়ে টলিপাড়ায় এত চর্চা হয়নি। তথাগত বললেন, ‘কলকাতায় ফ্যাশন ফোটোগ্রাফির প্রদর্শনী সেভাবে হয় না। আমরা অভিনেতাদের পর্দায় দেখেই অভ্যস্ত। সেখানে প্রিয়াঙ্কা একটা ফ্যাক্টর। প্রিয়াঙ্কাকে মানুষ নতুনভাবে পাচ্ছে।’ এ কথা সত্যি প্রিয়াঙ্কা কিন্তু এই কাজে শুধুই একজন মডেল নন। তিনি বন্ধুর জন্য বাড়তি কী কাজ করলেন? ‘এই কাজের আলোচনার দিন থেকেই প্রিয়াঙ্কা ছিল। তাছাড়া আমরা প্রত্যেকেই আলাদা বাণিজ্যিক কাজে ব্যস্ত থাকি। সবাইকে একত্রে কাজটাও প্রিয়াঙ্কা করিয়েছে। সেদিক থেকে এটা প্রিয়াঙ্কারও প্রজেক্ট’, বললেন তথাগত।
প্রিয়াঙ্কা বলছিলেন, ‘পুরো ভাবনা, টিম তৈরি করা সবটাই তথাগত করেছে। আমি প্রোডাকশনের নানা রকম কাজ করেছি। লোকেশন ঠিক করা। এগজিবিশনের জন্য কিছু কো-অর্ডিনেশন করেছি।’ টাকা নিয়ে কাজ করে চলে যাওয়ার মানসিকতা কিন্তু এই ক্ষেত্রে কখনওই ছিল না প্রিয়াঙ্কার। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তথাগতর তোলা প্রিয়াঙ্কার ছবি অনেকেই দেখেছেন। এই প্রথম তাঁরা কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে। আদৌ কি এত কিছু ভাবেন তাঁরা? প্রিয়াঙ্কা বললেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন যতটা পারি ব্যক্তিগত রাখার চেষ্টা করি। গত দু’বছর ধরে আমরা প্রচুর কাজ করেছি। এই প্রথম আমরা এগজিবিশন করছি। লোক আসছেন, দেখছেন। মানুষের পছন্দ না হলে সরাসরি বলে যাবেন। এটা সম্পূর্ণ অবাণিজ্যিক প্রজেক্ট। পরবর্তীকালে একটা অ্যালবাম হতে পারে। ইতিমধ্যেই কয়েকটা ছবি কেনার জন্য কেউ কেউ বলে রেখেছেন।’
সোহম কর ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়