বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিন প্রথমে এক ট্যুইটার বার্তায় রাহুল বলেন, ‘রাজনীতির কঠিন লড়াই সীমাবদ্ধ থাকুক মতাদর্শগত লড়াই ও নীতিগত আদর্শের মধ্যে। একে অপরের বিরুদ্ধে কু-কথা, হিংসা ও ঘৃণা ছড়িয়ে হাততালি কুড়োলেও দেশের মঙ্গল হয় না। বরং তা দেশের সংস্কৃতির পক্ষে অত্যন্ত খারাপ। রাহুলের এই বার্তা শুধু তাঁর প্রতিপক্ষকে নিশানা করে নয়। নিজের দলের নেতা-নেত্রীদেরও প্রতিও কড়া বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, মণিশঙ্কর আইয়ার একবার প্রধানমন্ত্রীকে ‘নীচ আদমি’ বলে বেশ বিপাকে ফেলে দিয়েছিলেন কংগ্রেসকে। সম্প্রতি স্যাম পিত্রোদাও শিখ বিরোধী দাঙ্গার ইস্যুতে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন কংগ্রেসকে। এ সব নিয়ে রাহুল যে মোটেও সন্তুষ্ট নন, তা বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ঘরে বাইরে। অন্যদিকে, তাঁর পরিবারকে টেনে এনে মোদির নির্বাচনী প্রচারে তিনি যে ‘অনুতপ্ত’ তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী আমার পরিবারকে নানাভাবে অপমান করে চলেছেন। কখনও আমার বাবা, মা’কে অপমান করছেন। আবার কখনও ঠাকুমাকে অসম্মান করছেন। আমি কিন্তু কোনওদিনই তাঁর পরিবারকে অসম্মান, অপমান করিনি। কারণ, আমি আরএসএস বা বিজেপির কর্মী নয়। আমি একজন কংগ্রেস কর্মী। মরে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর বাবা, মা’কে অপমান করতে পারব না।’ এর পরেই রাহুলের সংযোজন, ঘৃণা বা হিংসা নয়। কংগ্রেস ভালোবাসা আর আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়। মধ্যপ্রদেশে কৃষিঋণ মকুবের ক্ষেত্রেও ঘৃণা, হিংসাকে প্রশ্রয় দেয়নি কংগ্রেস। বিজেপির নেতা-কর্মীরাও ঋণ মকুবের সুবিধা পেয়েছেন। এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইও রয়েছেন সেই তালিকায় রয়েছেন বলে রাহুলের দাবি। এর আগেও একই দাবি করেছিলেন তিনি। পরে চৌহান সেই দাবি খারিজ করে দেন। এদিন রাহুল বলেছেন, ‘নিজের ভাইয়ের ঋণ মকুবের সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি যদি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অস্বীকার করেন, তা হলে তিনি ‘মিথ্যাকথা’ বলছেন।’
মধ্যপ্রদেশের নিমুচেও এদিন নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন রাহুল। সেখানে বালাকোটে বিমানহানা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দেন রাহুল। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, ‘আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে বায়ুসেনার বিমানগুলি পাকিস্তানের রেডার এড়াতে পেরেছিল।’ এদিন রাহুল সেই মন্ত্যকে বিদ্রুপ করে বলেছেন, ‘মোদিজি, ভারতে বৃষ্টির দিনে সব বিমানই রেডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে!’ এরই পাশাপাশি অভিনেতা অক্ষয়কুমারকে দেওয়া সাক্ষাৎকার তুলে ধরেও প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন রাহুল। তিনি বলেছেন, ‘সাক্ষাৎকারে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আম খাওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এবার বরং দেশের বেকার যুবক-যুবতীরা কর্মসংস্থানের জন্য কী করবেন, তার পরামর্শ দিন।’ এই প্রসঙ্গে দলের ইস্তাহার তুলে ধরে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘ইস্তাহারে প্রস্তাবিত ‘ন্যায়’ প্রকল্প কর্মসংস্থানের নতুন দিশা দেখাবে।’