বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এসডিপিও বলেন, চুরির ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছি। মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে শুরু করে গোটা চত্বরে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
কেতুগ্রাম-১ ব্লকের নিরোল পঞ্চায়েতের দক্ষিণডিহি গ্রামে অট্টহাসে সতীর দেহের ওষ্ঠ পড়েছিল বলে কথিত আছে। বর্তমানে অট্টহাস মন্দিরের কাজকর্ম পরিচালনা করেন মহেন্দ্রশঙ্কর গিরি মহারাজ। কমিটির দাবি, এদিন সকালে কলকাতা থেকে মহারাজের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সোমবার কাকভোরে মহারাজ মন্দির ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। এদিন সকালে মন্দিরের দরজা খুলেই বিগ্রহের গায়ে গয়না দেখতে পাননি প্রধান পুরোহিত অমল ভট্টাচার্য। তারপর তিনি মন্দিরের বাকি পুরোহিতদের ডাকাডাকি করে বিষয়টি জানান। এরপরেই মন্দিরের ভিতরে থাকা পুলিস ক্যাম্প থেকে সিভিক ভলান্টিয়াররা কেতুগ্রাম থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান।
পুরোহিত অমল ভট্টাচার্য, মাখন রায় বলেন, আমরা মন্দিরের দরজা খুলে দেখি, মায়ের গায়ে গয়না নেই। এরপরেই মহারাজকে ফোনে বিষয়টি জানাই। তারপর কলকাতা থেকে তড়িঘড়ি কেতুগ্রামের অট্টহাসে ফিরে আসেন মহারাজ। তিনি বলেন, এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দু’বার চুরি হয়েছে। পুলিসক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চুরি হল তা বুঝতে পারছি না।
মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত মন্দিরের পুরোহিতরা মন্দিরেই ছিলেন। তারপর মাকে শয়নে দিয়ে যে যার বাড়ি ফিরে যান। মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকা নাইট ভিশন সিসি ক্যামেরাটি গত কয়েকদিন ধরে কাজ করছিল না। সেকথা মন্দিরের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাড়া অন্য কারও জানা সম্ভব নয়। এছাড়া মহারাজ মন্দির ছেড়ে বাইরে যাওয়ার পরই এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন সকলে। এদিকে মন্দিরের পিছনের মাঠ থেকে বেশ কিছুদূর পর্যন্ত মোটরবাইকের চাকার দাগ, পায়ের ছাপ, ভাঙা তালা ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যায়। সবকিছুই খতিয়ে দেখছে পুলিস।
যদিও অট্টহাস মন্দিরে চুরির ঘটনা নতুন নয়। একাধিকবার এই মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই অট্টহাসের গর্ভগৃহ থেকে অষ্টধাতুর মূর্তি চুরি যায়। আবার ওই বছরেরই ১ ডিসেম্বর অট্টহাস আশ্রমে থাকা সন্ন্যাসীদের মারধর করে লুট চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তারপরেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এরপরেই মন্দির চত্বরে বসানো হয় পুলিস ক্যাম্প। ভোটের সময় কয়েকজন পুলিসকর্মীকে অট্টহাস মন্দিরের ক্যাম্প থেকে তুলে নেওয়া হয়। পরিবর্তে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়। ওই রাতেও দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার মন্দির চত্বরে ডিউটিতে ছিলেন। তারপরেও চুরির ঘটনা ঘটায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এনিয়ে তাঁরা যথাযথ তদন্তের দাবি তুলেছেন। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।