বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরবেলা সাবিনা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বাড়ির লোকজন কেউই তা টের পায়নি। সকাল ৬টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রেল লাইনের ধারে রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে এলাকার লোকজন বাড়িতে খবর দেয়। পরে জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিস জানতে পেরেছে ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ভোরবেলা সে কেন রেল লাইনের কাছে গেল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃতার বাবা নাজু আনসারি বলেন, এখন রোজা চলছে। সেকারণে ও ওর মায়ের সঙ্গে রাত ২টোর সময় ঘুম থেকে উঠেছিল। প্রথা মানার পর ভোরের দিকে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ও কখন বেরিয়ে গিয়েছে সেটা টেরই পাইনি। পরে সকালের দিকে প্রতিবেশী একজন এসে বলে রেল লাইনের ধারে সাবিনার মৃতদেহ পড়ে আছে। তা শুনেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কীভাবে কী হল তা কিছুই বুঝতে পারছি না। ও খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বের হবে। ও আমাকে বলেছিল ফল বেরনোর পরেই কম্পিউটার শিখব। ও সিটি সেন্টারের কাছে একটি কম্পিউটার সেন্টারের খোঁজ নিয়েও এসেছিল। এত কিছুর পরেও কেন এরকম হল বুঝতে পারছি না। পুলিস বলছে ট্রেনের ধাক্কায় মেয়ে মারা গিয়েছে। রাতে ওর মা ওকে একটু বকাবকি করেছিল। সেকারণেই ও রেললাইনে গিয়ে আত্মহত্যা করল কিনা বুঝতে পারছি না। পুলিস জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ হয়নি।