বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সদর) অরূপ রায় বলেছেন, এবারের ভোটে বিজেপি নানাভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, তাদের কৌশল কাজে লাগেনি। ২০১৪ সালে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় যে ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন, তার চেয়ে আমরা এবার অনেক বেশি ব্যবধানে জয়ী হব। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থীর জয়ের মার্জিন বাড়বে। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেছেন, কিছু জায়গায় তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারধর করে বুথে এজেন্ট হিসেবে বসতে দেয়নি। তা সত্ত্বেও এবার এই কেন্দ্রে আমরা জয়ী হব। রাজ্যের এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে মানুষ আর মেনে নিতে পারছে না।
গত বিধানসভা ভোটে হাওড়া সদর লোকসভার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রই তৃণমূলের দখলে ছিল। অন্যদিকে, উলুবেড়িয়া লোকসভার মধ্যে একমাত্র আমতায় তৃণমূলকে হারিয়ে কংগ্রেসের অসিত মিত্র জয়ী হয়েছিলেন। যদিও ২০১৮ সালের লোকসভার উপনির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রেই ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূলের সাজদা আহমেদ। এমনকী, আমতা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৮০ হাজারের কাছাকাছি ‘লিড’ ছিল তাঁর। কিন্তু, এবারের পরিস্থিতি অন্য রকম। এবার বিজেপি এই জেলাতেও তেড়েফুঁড়ে নেমেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ হাওড়া জেলায় দু’টি জনসভা করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও আমতায় সভা করেছেন। এবার হিসেব পাল্টে যাবে বলে বিজেপি প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে। তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের পরেই রাজ্য নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট চায়। ওই রিপোর্টে প্রতিটি বিধানসভায় কী ফল হতে পারে, তার আভাস দিতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে হাওড়া সদর লোকসভায় বালি, উত্তর হাওড়া ও দক্ষিণ হাওড়া নিয়ে চিন্তা রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। উত্তর হাওড়ায় ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী লক্ষ্মীরতন শুক্লা প্রায় ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। বালি কেন্দ্রেও তৃণমূল প্রার্থী বৈশালী ডালমিয়া ২০১৬ সালে প্রায় ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।