সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
বাবলা খুনে ইতিমধ্যেই দলের টাউন সভাপতি নন্দু তেওয়ারি সহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার ও একজনকে আটক করেছে পুলিস। কিন্তু স্বামীর খুনের পিছনে বড় কোনও মাথা আছে বলে প্রথম দিন থেকেই দাবি করে আসছেন প্রয়াত নেতার স্ত্রী তথা ইংলিশবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চৈতালি সরকার। সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে বলে চর্চা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সেই জল্পনাকেই কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল।
মালদহ ডিএসএ সংলগ্ন মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নেমেই মহানন্দা ভবনের দিকে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ভবনের সামনে দিয়ে গেলেও সেখানে না ঢুকে সোজা বাবলার বাড়ির দিকে এগিয়ে যায় কনভয়। তবে মালদহে এলে তিনি যে প্রয়াত সহকর্মীর বাড়িতে দেখা করতে যাবেন, তা আগে থেকেই আঁচ করেছিল পুলিস।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন একাই বাবলার বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব ও জনৈক আইবি অফিসার। চল্লিশ মিনিটের বেশি সময় তিনি চৈতালির সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। বাইরে তখন বিশাল ভিড়। কথাবার্তা শেষে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, কতগুলো কথা আমার কানে এসেছে। সেসব তদন্তের ব্যাপার। আমার যা বলার, ডিজি’কে বলেছি। আইবি’র যারা আছে, তাদেরও বলেছি।
স্পষ্টতই মমতার কথায় ফুটে ওঠে দীর্ঘদিনের সহকর্মীকে হারানোর যন্ত্রণা। তাঁর মন্তব্য, বাবলা আমার বহু পুরনো পরিচিত। মালদহের অনেক ঘটনার সাক্ষী আমরা। দলের একজন নিরলস কর্মী হিসেবে এলাকার মানুষের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় ছিল। এরপরেই বিতর্ক উস্কে তিনি যোগ করেন, মালদহের রাজনীতি আমি বুঝি না। এমএলএ, এমপি আমরা পাই না। কিন্তু পুর নির্বাচনে জিতে যাই। দুর্ভাগ্য এটাই। এর মধ্যে গভীর রহস্য আছে। রহস্যটা আমি জানি। অনেকরকম খেলা চলে। এই খেলা চললে শেষ পর্যন্ত মানুষেরই খারাপ হবে। - নিজস্ব চিত্র