সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
দৈনন্দিন কাজের জন্য যে টাকা প্রয়োজন, সেটা সরকারের তরফে কম্পোজিট গ্র্যান্ট নামক খাতে স্কুলগুলিকে দেওয়া হয়। গত এক বছর ধরে এই টাকা প্রায় বেশিরভাগ স্কুল পায়নি। নানাভাবে আবেদন-নিবেদন করার পর নতুন শিক্ষাবর্ষে এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিকাশ ভবন। সেই মতো এই জেলার ১১১৯টি উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের জন্য ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। গত ২ জানুয়ারি এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে জেলা শিক্ষা বিভাগ। প্রত্যেক স্কুলই আশায় বুক বেঁধেছিল যে, এবার এই টাকা পেলে প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী কেনা যাবে। অন্যান্য খরচের সমস্যাও দূর হবে। কিন্তু এখনও টাকা না পাওয়ায় বহু স্কুলকেই নানারকম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে।
মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, চক, ডাস্টার, খাতা থেকে শুরু করে স্কুলের বিদ্যুতের বিল ও অন্যান্য খরচ এই কম্পোজিট গ্র্যান্ট থেকে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন সেটা না পাওয়ার কারণে আমাদেরই দিতে হচ্ছে। না হলে স্কুল চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার জানান, অর্ডার হওয়ার পরও কেন টাকা ছাড়া হচ্ছে না, সেটাই আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এতে স্কুলগুলি ভুক্তভোগী হচ্ছে।
কেন টাকা ছাড়া এখনও হয়নি, সে ব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট ব্যাখ্যা জেলা শিক্ষাবিভাগের থেকেও মেলেনি। সূত্রের খবর, কিছু জটিলতার কারণে এই প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। তবে দ্রুত টাকা ছাড়া হবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে।