অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া জানান, গৌড়, পান্ডুয়া, আদিনার ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা অর্জনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সম্মান অর্জন করার লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করছে।
গৌড় এবং পান্ডুয়ার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। সেই ঐতিহাসিক গুরুত্বকে সামনে রেখেই এই জায়গাগুলির ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা পাওয়া উচিত বলে মনে করছেন মালদহের প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু কোনও ঐতিহাসিক স্থাপত্যকে ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা এনে দেওয়ার জন্য বেশকিছু গাইডলাইন রয়েছে। সেই পরীক্ষায় পাশ করতেই প্রশাসন জোরকদমে কাজ শুরু করেছে।
গৌড়ে পাল রাজাদের রাজত্বে পান্ডুয়া, জগজীবনপুরকে ঘিরে থাকা স্থাপত্য ও সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য সমস্ত সরকারি দপ্তরকে নিয়ে ঝাঁপিয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে পর্যটন পরিকাঠানোর খোলনলচে বদলে ফেলার ভাবনাও রয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা অর্জন করতে প্রাথমিকভাবে ১৪টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে বেশকয়েকটি কাজ শেষ হয়েছে। ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলিকে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন করে তোলা হয়। এরপর স্থাপত্য পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। বিশেষ করে পান্ডুয়ার হামাম বা স্থানাগার সম্প্রতি পুনরুদ্ধার করা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। পাশাপাশি এই জায়গাগুলির সৌন্দর্যায়নের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। পর্যটক টানতে গৌড়, জগজীবনপুর, আদিনা ও পান্ডুয়ায় পর্যটকদের বসার জন্য সুসজ্জিত বেঞ্চ, ছোটদের জন্য চিলড্রেন পার্ক ও টয়ট্রেনের মাধ্যমে জয় রাইড এবং বড় বড় বাগান তৈরি করে মরশুমি ফুল চাষ হবে। ইতিমধ্যে জেলাশাসক পূর্ত, পর্যটন, বিদ্যুৎ, বন সহ সমস্ত সরকারি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে ঐতিহাসিক জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন। সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ হলে এই সমস্ত জায়গা পর্যাপ্ত আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্রে পুলিসি নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করার কাজ করছে প্রশাসন। যা পর্যটকদের নিশ্চিন্তে ছুটি কাটানোর ক্ষেত্রে আরও বেশি আকর্ষণ করবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন। নিজস্ব চিত্র।