সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
জেলায় ৬৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে দু’টি করে রাস্তা তৈরি হবে। সবচেয়ে বেশি রাস্তা হচ্ছে আলিপুরদুয়ার-১ ও ফালাকাটা ব্লকে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই রাস্তার কাজের শিলান্যাস নিয়ে জেলাজুড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই দিন প্রতিটি অঞ্চলে রাস্তার কাজের শিলান্যাসের সময় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করা হবে। যা পঞ্চায়েত ভোটের আগে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত। এর মধ্যে ১০টি পঞ্চায়েতে দু’টি করে রাস্তা হবে। বাকি একটি পঞ্চায়েত বিবেকানন্দ-২’তে তিনটি রাস্তা বানানো হবে। এই রাস্তাগুলি কোথাও কংক্রিটের আবার কোথাও পিচের রাস্তা হবে। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকে রাস্তাগুলি হবে কোথাও দেড়, কোথাও দুই আবার কোথাও তিনকিমি লম্বা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বরাইক বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বকেয়া অর্থ দিচ্ছে না। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যকে বকেয়া না দিয়ে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। তারপরেও রাজ্য সরকার ফান্ড তৈরি করে রাস্তাশ্রী প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে ১২ হাজার কিমি রাস্তা বানাবে। ২৮ তারিখ জেলায় ১৩৫টি রাস্তার কাজের শিলান্যাস হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি শিলান্যাসের সময় প্রতিটি অঞ্চলে দলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে বলেন, রাস্তাগুলির মধ্যে কিছু রাস্তা হবে কংক্রিটের ও কিছু বিটুমিনের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলাজুড়ে পুরনো রাস্তা সংস্কার ও নতুন রাস্তা তৈরি রাজ্য সরকারের বড় সাফল্য। আমাদের জেলায় ১৩৫টি রাস্তার কাজের শিলান্যাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাস্তার উন্নয়নকে কাজে লাগিয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে কাছে টানতে চাইছে শাসকদল তৃণমূল। বিরোধীরা অবশ্য এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন, রাজ্য সরকারের এই রাস্তার কাজের শিলান্যাস ভার্চুয়ালিই থাকবে। সাধারণ মানুষ রাস্তা সংস্কার কিংবা রাস্তা তৈরির কাজ দেখতে পারবে না।