সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে নিজের বাড়ির বেডরুম থেকে ২০ বছর বয়সি ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দেহ উদ্ধার হতেই বুধবার রাতে এলাকার একটি সালিশি সভার অতি সক্রিয়তাকে দায়ী করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, স্থানীয় এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই যুবকের। দু’জনেই দু’জনকে ভালোবাসত। তবে ওই কিশোরীর পরিবার সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তারপরও গোপনে প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ওই যুবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মেয়েটি নিখোঁজ হতেই উত্তেজনা বাড়ে। বিকেল থেকেই পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে গ্রামের একপ্রান্তে ওই যুবককে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দেখতে পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে মেয়েটির পরিবার। যুবকের পরিবারের দাবি, এরপর পুলিসের দ্বারস্থ না হয়ে সালিশি সভা বসায় স্থানীয় মাতব্বররা। মেয়ের বাড়ির লোকজনেরও তাতে সম্পূর্ণ মদত ছিল। সেখানে ডেকে পাঠানো হয় মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের। সেখানেই হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের শারীরিক নিগ্রহও করা হয়।
মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, সালিশি সভায় তাঁদের মোটা টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার বেশ খানিকটা অর্থ তাঁরা ওই সালিশি সভায় জমা দেন বলেও দাবি। শুধু শারীরিক নিগ্রহ বা জরিমানাই নয়, মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে বাসিন্দাদের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছে।
পুলিস জানিয়েছে, মৃতদেহ মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সালিশি সভায় ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে ঘটনার পর এলাকায় থাকলেও মুখ খুলতে রাজি হননি প্রেমিকার পরিবার।