হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
আফগানিস্তানের আর পাঁচজন রাজনীতিকের সঙ্গে তাঁকে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। অক্সফোর্ডের ডবল এমএ সাদাত। মন্ত্রীর কুর্সিতে বসার আগে অন্তত ১৩টি দেশের বহু নামী সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন তিনি। এমনকী মন্ত্রী হওয়ার আগে আফগানিস্তান সরকারের যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের উপদেষ্টা পদেও ছিলেন দীর্ঘদিন। ভাগ্যের ফেরে সেই তিনিই এখন জার্মানির লিপজিগ শহরে পিৎজা ডেলিভারি বয়। সম্প্রতি কমলা রঙের পোশাকে পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে তাঁকে সাইকেলে পিৎজা ডেলিভারি করতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয় চিত্র সাংবাদিকদের ক্যামেরাবন্দি করা সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই রীতিমতো শোরগোল। ছবিগুলি যে তাঁরই, তা সংবাদ মাধ্যমের কাছে খোলাখুলি স্বীকারও করে নিয়েছেন সাদাত।
কেন ছাড়লেন দেশ? তা হলে কি তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন যে, অদূর ভবিষ্যতে কাবুলের পতন হতে চলেছে? ক্ষমতার রাশ চলে যাবে তালিবদের হাতে? এমনই সাতপাঁচ প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে, তখন প্রাক্তন মন্ত্রী স্বীকার করেছেন, প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানির সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবে রাজনৈতিক মতবিরোধের জন্য দেশত্যাগী হতে হলেও কাবুলের বর্তমান পরিস্থিতি তাঁকে রীতিমতো উৎকণ্ঠায় রেখেছে। খানিকটা আক্ষেপের সুরেই বলেছেন, ‘এত তাড়াতাড়ি ঘানি সরকারের পতন হবে, বিশ্বাস করুন... ভাবতে পারিনি।’
২০১৮ সালে তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হিসেবে আসরাফ ঘানির সরকারে যোগ দেন সাদাত। তারপর থেকে টানা দু’বছর দক্ষতার সঙ্গে মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। কিন্তু পরের দিকে সরকার পরিচালনার নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মতবিরোধের জেরে আচমকা ২০২০ সালে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন তিনি। এর পর গত বছরের ডিসেম্বরে আফগানিস্তান ছেড়ে জার্মানিতে চলে আসেন। সেখানে পেট চালাতেই তিনি পিৎজা ডেলিভারির কাজ বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কমিউনিকেশন ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই স্নাতকোত্তর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে পিৎজা ডেলিভারি বয়—রূপকথার গল্পের মতোই তাঁর জীবন সংগ্রাম নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য অকপট সাদাত। বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। বরং আমার বিশ্বাস, আমার লড়াইয়ের গল্প অনেক উচ্চপদস্থেরও জীবন সম্পর্কে চেনা ধারণা বদলে দেবে।’