অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
বিজেপি সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে। জেলার নেতাদের মনোবল বাড়াতে দলের হেভিওয়েটরাও বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। তারপরও অধিকাংশ জেলা এখনও টার্গেট ছুঁতে পারেনি। দল মজবুত হওয়া দূরের কথা, নিজেদের কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে আসছে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাক্যবাণে নেতারা বিদ্ধ হচ্ছেন। প্রকাশ্যেই তিনি দলের একাংশকে তোপ দেগে চলছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দ্বন্দ্ব থামানোর জন্য বহুবার চেষ্টা করেছে। দিলীপবাবুকেও লাগাম দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। দলের বেআব্রু রূপ এখনও প্রকাশ্যে। তা নিয়েই এদিন মিঠুন মুখ খুলেছেন।
মিঠুন বলেন, আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে। নিজেদের মধ্যে যা ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে তা মিটিয়ে একসঙ্গে লড়তে হবে। তিনি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে বলেন, সবাই পদ পেতে চাইছে। একজন জেলা সভাপতি হলে অন্যজন তার পা টেনে ধরছে। এসব করলে হবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলতে হবে।
এদিন বর্ধমানে আসার আগে মিঠুন জামালপুরে পাঁচরায় দলের কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেখানে বিশৃঙ্খলা হয়। দলের কর্মী-সমর্থকরা চিৎকার শুরু করে দেন। তিনি তাঁদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু সেই কথায় কর্ণপাত না করে কিছু কর্মী হট্টগোল চালিয়ে যেতে থাকে। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে মিঠুন হল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। বর্ধমানে এসে তিনি ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি দলের বৈঠকে নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া নিজেদের কথা চিন্তা না করে সংগঠনের কাজে মনোনিবেশ করার নির্দেশ দেন। তা না হলে ২০২৬সালের নির্বাচনে লড়াই সহজ হবে না বলে তিনি জানিয়ে দেন। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই বিজেপি সব বুথে এখনও কমিটি তৈরি করতে পারেনি। সেকারণে তারা নতুন সদস্য তৈরি করতে বেগ পাচ্ছে।