অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
পাঞ্জাব পুলিসের ডিজি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, যৌথবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরেই গুলি চালাতে শুরু করে খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্সের (কেজিএফ) জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় পুলিসও। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে গুরুতর জখম হয় তিন জঙ্গি। চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি তিনজনকে পুরাণপুরার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বীরেন্দর সিং ওরফে রবি (২৩), গুরবিন্দর সিং (২৫) ও জশনপ্রীত সিং ওরফে প্রতাপ সিংয়ের (১৮)। তিন জঙ্গিই গুরুদাসপুরের কালানৌরের বাসিন্দা। জঙ্গি ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি একে-৪৭, দু’টি গ্লক পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ। গোটা বিষয়টিকে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি মডিউলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় সাফল্য বলেও উল্লেখ করেছে পাঞ্জাব পুলিস।
পরে এক্স হ্যান্ডলে ডিজি আরও জানান, গোটা মডিউলটি নিয়ন্ত্রণ করে কেজিএফ প্রধান রণজিৎ সিং নীতা। সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে গ্রিসে থাকা জসবিন্দর সিং মান্নু ও ব্রিটেনের জগজিৎ সিংয়ের কাঁধে। ফতে সিং বাগ্গি পরিচয়ে এই জগজিৎ ব্রিটিশ সেনায় কর্মরত। পাশাপাশি, যৌথ অভিযানের জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিসকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনার তদন্তে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিস। তার ভিত্তিতে শীঘ্রই এই মডিউলের আরও সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
যদিও এনকাউন্টারের পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস এমপি সুখজিন্দর রন্ধওয়া বলেন, ‘গ্রেনেড হামলা যে হয়েছে, তা আজ পর্যন্ত মানতেই চাইছিল না পুলিস। তাদের দাবি ছিল, টায়ার ফেটেছিল। পাঞ্জাবকে অস্থির করার জন্য একটা বড় চক্রান্ত চলছে। রাজ্য ছেড়ে শিল্প চলে যাচ্ছে, যুবকরা ভয়ে ভয়ে বাঁচছে। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র হাতে হাত মিলিয়ে পাঞ্জাবকে শেষ করে দিতে চাইছে।’