মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
সঞ্জীববাবু বর্তমানে প্রমোশন পেয়ে পশুপালন ও দুগ্ধমন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি। তিনি জানান, কয়লামন্ত্রীর নির্দেশে তিনি এই অনুমোদন দিয়েছিলেন। এরপরই শুরু হয় অভিযুক্তদের আইনজীবীর জেরা। জেরার মুখে আদালতে তিনি বলেন, সিবিআই কয়লামন্ত্রকে কয়লা পাচার মামলার সারাংশ পাঠিয়ে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার অনুমোদন চেয়েছিল। কয়লা মন্ত্রানালয় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। কয়লামন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার তদন্ত সম্পর্কে তিনি অবগত নন। একই ভাবে ইসিএলের একাধিক অভিযুক্ত জিএমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছিলেন কয়লা মন্ত্রকের চিফ ম্যানেজার (পার্সনাল) অমিতাভ কুমার সিং। অভিযুক্তদের আইনজীবীর জেরায় কার্যত তিনিও স্বীকার করে নেন, তদন্তের বিষয়টি তাঁর নজরে নেই। অভিযুক্তদের আইনজীবী বিভিন্ন নিয়মকে সামনে এনে দেখিয়ে দেন, অমিতাভবাবুর অনুমোদন দেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই। নিজে জেনারেল ম্যানেজার পদমর্যাদার না হয়ে কী করে তিনি জেনারেল ম্যানেজারদের বিরুদ্ধে সেই অনুমোদন দিলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কোর্টে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রথমদিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কিছুটা ব্যাকফুটে সিবিআই। অন্যদিকে, মুখের হাসি চওড়া হতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত ও তাঁদের পরিবারের লোকজনদের।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সিবিআই এই মুহূর্তে যথেষ্ট বেকায়দায়। তারপর যেভাবে কয়লা পাচার কাণ্ডের সাক্ষ্য শুরু হল তাতে এই মামলার ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজ্ঞদের একটা বড় অংশ। অভিযুক্তদের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু, সোমনাথ চট্টোরাজ বলেন, ‘আমাদের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর ছিল না সিবিআইয়ের পেশ করা সাক্ষীদের।’