মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
কলকাতার পরিবেশকে রক্ষার কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সম্প্রতি পুরসভার মাসিক অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপন করেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির কাউন্সিলার মীনাদেবী পুরোহিত। কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্যবিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন জানান তিনি। মুরগির মাংসের দোকানগুলির ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন অতীন। অতীন ঘোষ বলেন, বিষয়টি গুরুতর। যেভাবে প্রকাশ্যে ফুটপাত বা রাস্তায় অস্থায়ী দোকান বসিয়ে মুরগি কেটে মাংস বিক্রি চলছে, তাতে শহর খুব অপরিষ্কার হচ্ছে। পাশাপাশি রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকছে। মাংস কাটার যে চিত্র উঠে আসছে, তাতে দৃশ্যদূষণ হচ্ছে। তাই, কিছু পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘেরা জায়গায় মুরগির মাংস বিক্রিতে পুরসভার কোনও আপত্তি নেই। শুধু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
মীনাদেবীর প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি মেয়র আরও জানিয়েছেন, শীঘ্রই মুরগির মাংসের দোকানগুলির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কলকাতা পুরসভা। সেই নিয়ম মানতে হবে। মুরগির মাংস কাটার ক্ষেত্রে কোনও নতুন প্রযুক্তি আমদানি করা যায় কি না, সে ব্যাপারে আলোচনা করছে পুরসভা। কারণ, শহরে দিন দিন যেভাবে রাস্তা বা ফুটপাত দখল করে মুরগির দোকানের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে দৃশ্যদূষণের পাশাপাশি শহরের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আগে কলকাতায় পাঁঠার মাংসের দোকানগুলিও প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি করত। কিন্তু এ বিষয়ে পুরসভা হস্তক্ষেপ করার পরে সব দোকানেই কাচ লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু, মুরগির মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। সেই সুযোগ নিয়ে শহরের যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে মুরগির মাংসের দোকান। যা থেকে শহরে দূষণের পাশাপাশি অবৈধ হকারের সমস্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে।